ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চালের দানার চেয়েও ক্ষুদ্র কম্পিউটার

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২৫ জুন ২০১৮

চালের দানার চেয়েও  ক্ষুদ্র কম্পিউটার

মাইক্রো বা ক্ষুদ্রাকৃতির কম্পিউটিং বিশ্বে আইবিএমকে পেছনে ফেলেছে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। বিশ্ববিদ্যালয়টির বিজ্ঞানীরা ০.৩ মিলিমিটার আকৃতির কম্পিউটার তৈরি করেছেন, যা একটি চালের দানার চেয়ে বামনাকৃতির। তুলনামূলকভাবে আইবিএমের সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির কম্পিউটারটি ১ মিলিমিটার আকৃতির। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রকল্পটির অন্যতম প্রধান গবেষক প্রফেসর ডেভিড ব্রাউ বলেন, ‘আমরা ১০ গুণ ক্ষুদ্রাকৃতির ডিভাইস তৈরি করেছি, এটি যেকোন ক্ষুদ্র স্থানে স্থাপন করা যাবে।’ ২০১৫ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির কম্পিউটার বানিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এ বছরের মার্চে সেই রেকর্ড ভেঙ্গে দেয় আইবিএম। এবার তার চেয়েও ক্ষুদ্রাকৃতির ডিভাইস তৈরি হওয়া মানে নতুন উপায়ের চেষ্টা বিজ্ঞানীদের চলছেই। ব্রাউ বলেন, ‘আমরা মূলত নতুন উপায়ে সার্কিট ডিজাইন উদ্ভাবন করেছি, যা সমান কম শক্তিতে চলবে কিন্তু সহনীয় ক্ষমতা বেশি হবে।’ সবচেয়ে ক্ষুদ্র কম্পিউটার তৈরির এই সফলতা বিশ্বব্যাপী গবেষকদের জন্য অনেকগুলো ক্ষেত্রে উন্নত গবেষণার দরজা খুলে দিতে পারে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য মতে, ক্ষুদ্র ডিভাইসটিকে মানুষের চোখের অভ্যন্তরে প্রেসার-সেন্সিং কাজে, ক্যানসার গবেষণা, বায়োকেমিক্যাল প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণসহ নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার গ্যারি লুকার বলেন, ‘আমরা একটি স্বাভাবিক কোষ এবং একটি টিউমার কোষের তাপমাত্রার পার্থক্য বুঝতে এটিকে সেন্সর হিসেবে ব্যবহার করে সফল হয়েছি।’ টিউমার এবং ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসায় গবেষকরা সবচেয়ে ক্ষুদ্র এই কম্পিউটার ব্যবহারে সফলতা আশা করছেন। তবে চালের দানার চেয়ে ক্ষুদ্র এই ডিভাইসটির ফিচার সীমাবদ্ধ এবং শক্তি হারালে তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে না। আইবিএম এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় উভয় গবেষকরা তাদের এ ধরনের মাইক্রো ডিভাইসকে কম্পিউটার বলাটা উচিত হবে নাকি হবে না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত না। কেননা শক্তি হারালে ডিভাইসগুলো সব প্রোপ্রামিং এবং ডেটা হারিয়ে ফেলে। ব্রাউ বলেন, ‘ডিভাইসগুলোর ন্যূনতম কার্যকারিতা প্রয়োজন কিনা, এ ব্যাপারে আরও বেশি মতামত প্রয়োজন।’ -সিনেট
×