ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পানামা বিধ্বস্ত ৬-১ গোলে

হ্যারি কেনের হ্যাটট্রিকে দ্বিতীয় রাউন্ডে ইংল্যান্ড

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২৫ জুন ২০১৮

 হ্যারি কেনের হ্যাটট্রিকে দ্বিতীয় রাউন্ডে  ইংল্যান্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হ্যারি কেন- এক ঝড়ের নাম। চলমান রাশিয়া বিশ্বকাপে তার দুর্দান্ত দাপট অব্যাহত রেখেছেন। প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করে ইংল্যান্ডকে জিতিয়েছিলেন তিউনিসিয়ার বিপক্ষে। আর রবিবার রাতে নিঝনি নভগোরদ স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করলেন। দলের অধিনায়কের এমন নৈপুণ্যে ইংল্যান্ড ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছে পানামাকে। এ জয়ের ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। হ্যারি কেন চলতি বিশ্বকাপে এখন ৫ গোল করে শীর্ষ গোলদাতা। জোড়া গোল করেন জন স্টোনস। ‘জি’ গ্রুপে দুই ম্যাচ জেতা বেলজিয়ামেরও নিশ্চিত হয়েছে শেষ ষোলো। আর দুই ম্যাচেই হেরে পানামা ও তিউনিসিয়া বিদায় নিয়েছে গ্রুপপর্ব থেকে। রবিবার ম্যাচের শুরু থেকেই পানামার ওপর প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে শুরু করে ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে জয় পেতে বেশ ঘাম ঝরেছিল ইংলিশদের। কিন্তু অধিনায়ক হ্যারি কেন ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। তার জোড়া গোলেই জয় তুলে নিয়েছিল তারা। বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ এ অধিনায়ক এদিনও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। যদিও এটাই প্রথমবার পানামার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। কিন্তু কনকাকাফ অঞ্চলের কোন দলের বিপক্ষে সর্বশেষ চারটি বিশ্বকাপ ম্যাচে হারেনি তারা। সেটাই যেন ম্যাচের প্রথম থেকে দেখা গেল। ৮ মিনিটের সময় প্রথম আঘাত হানলেন ইংলিশ ডিফেন্ডার জন স্টোনস। ট্রিপারের কর্নার থেকে হেডে পানামার গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি (১-০)। এটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্টোনসের প্রথম গোল। এরপর আরও উজ্জীবিত ইংল্যান্ড চেপে ধরে পানামাকে। দ্বিতীয় গোলটি পেতে সময় লাগেনি। ডি বক্সের ভেতরে পানামার মিডফিল্ডার আমান্ডো কুপার ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। সহজেই গোল করেন অধিনায়ক হ্যারি কেন (২-০)। একেবারে এলেমেলো হয়ে যায় পানামা। সেই সুযোগে ৩৬ মিনিটে আরেকটি সংঘবদ্ধ আক্রমণে তাদের বড় হতাশা উপহার দেন জেসি লিঙ্গার্ড। রাহীম স্টার্লিংয়ের কাছ থেকে বল পেয়ে এ মিডফিল্ডার বাঁকানো শটে বল পতিপক্ষের জালে জড়িয়ে দেন (৩-০)। দুঃস্বপ্নের প্রথমার্ধ যেন শেষই হচ্ছিল না। ৪০ মিনিটের সময়ই আরেকটি ভুল করে বসে পানামার রক্ষণভাগ। ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি-কিকে দারুণভাবে লক্ষ্যভেদ করেন স্টোনস (৪-০)। তার দুটি গোলের পর হ্যারি কেন গতির ঝড় তোলেন। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে বর্ধিত সময়ে পানামার ফিডেল এসকোবার যে ফাউল করেন তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি রেফারি। আরেকটি পেনাল্টি থেকে হ্যারি কেন নিজের দ্বিতীয় গোল করেন (৫-০)। প্রথমার্ধে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে যেন কিছুটা নিজেদের গুছিয়ে নিতে সক্ষম হয় পানামা। কিন্তু ৬২ মিনিটে আর প্রতিরোধ ধরে রাখতে পারেনি। লফটাস চিকের কাছ থেকে বল পেয়ে ছোট ডি-বক্সে ঢুকে গোল করেন হ্যারি কেন (৬-০)। হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো স্পেনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। এরপর আর যেন গোল করার প্রতি উৎসাহ হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। আর সেই সুযোগে পানামা কিছুটা তৎপর হয়ে ওঠে। সে কারণেই ৭৮ মিনিটে একটি সান্ত¡নাসূচক গোলের দেখা পায় তারা। আভিলার ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন পানামার ফিলিপে ব্যালয় (৬-১)। এরপর ইংলিশ ডিফেন্স সতর্ক হয়ে যায়। খেলা শেষ হওয়ার আগে আর কোন গোল হয়নি। ৬-১ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।
×