ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাটমন্ডলে কল্পতরুর নয়ন জুড়ানো ভরতনাট্যম উৎসব

প্রকাশিত: ০৫:১২, ২৫ জুন ২০১৮

নাটমন্ডলে কল্পতরুর নয়ন জুড়ানো ভরতনাট্যম উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মঞ্চজুড়ে ছড়িয়ে আছে নীলাভ আলো। প্রশান্তিময় সেই আলোর মাঝে ভেসে বেড়ায় নৃত্যের নান্দনিকতা। মুদ্রার সঙ্গে অভিব্যক্তির প্রকাশে দর্শনার্থীর নয়নে মুগ্ধতা ছড়ান দুই নৃত্যশিল্পী। উপস্থাপন করেন শাস্ত্রীয় নৃত্য ভরতনাট্যমের নানা আঙ্গিক। এভাবেই শিল্পরসিকের মাঝে ভাললাগার বীজ বুনে শুরু হলো রঙ্গশ্রী শীর্ষক ভরতনাট্যম উৎসব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটম-লে দুই দিনব্যাপী উৎসবের আয়োজক নৃত্য সংগঠন কল্পতরু। রবিবার সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে উৎসব উদ্বোধন করেন অতিথিরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য নাসরীন আহমেদ, নাট্যকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আহমেদুল কবীর, নৃত্য সমালোচক সুনীল কোঠারি, লীলা ভেনকারটরামান, মনিপুরি নৃত্যগুরু কলাবতী দেবী ও কল্পতরুর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর লুবনা মরিয়ম। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে নৃত্যরসিকে পরিপূর্ণ মিলনায়তনে পরিবেশনা উপস্থাপন করেন কল্পতরুর দুই নৃত্যশিক্ষক অমিত চৌধুরী ও অর্থি আহমেদ। সূচনায় আলারিপুর আশ্রয়ে দিয়ে নিজেকে মেলে ধরেন অমিত চৌধুরী। শিল্পীর হাত ও পায়ের কারুকাজের সঙ্গে চোখের খেলায় উঠে আসে সুখময়তা ও আনন্দের ভঙ্গিমা। ভারতের তামিলনাড়ু থেকে উৎপত্তি হওয়া ভরতনাট্যম পরিবেশনার প্রথম ধাপ হলো আলারিপুর। তেলেগু ভাষায় আলারিপুর অর্থ হলো প্রস্ফূটিত হওয়া। শুরুতেই শিল্পী মাথার উপরে নমস্কারের ভঙ্গিতে দুই হাত তুলে, ছন্দের সঙ্গে দৃষ্টি ও গ্রীবার কাজ করেন। এর পর তিনি রঙ্গদেবতা, দর্শক, সঙ্গীতশিল্পী সবার কাছ থেকে আশীর্বাদ নেন। রূপকতালে সাত মাত্রার তালের সঙ্গে পরিবেশনা শেষ করেন। এরপর শিল্পী হিন্দু অবতার নৃসিংহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পরিবেশন করেন নারাসিমহা কৌতুভাম। পরের পরিবেশনাটির আঙ্গিক ছিল বর্ণম। নৃত্যাভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের হৃদয়কে স্পর্শ করেন শিল্পী। মুখাভিনয়, মুদ্রাবিন্যাস ও দ্রুত পায়ের কাজ করেন শিল্পী। এ পরিবেশনার সঙ্গে ছিল কল্যাণী ও নবরত্নমালিকার মতো অল্প প্রচলিত রাগের ব্যবহার। এরপর পরিবেশন করেন শিবাপাদাম। তিলানা দিয়ে পরিবেশনা শেষ করেন অমিত চৌধুরী। এ নৃত্যাংশে যতির অংশগুলো বিলম্বিত, মধ্য ও দ্রুতলয়ে পরিবেশন করা হয়। যার সঙ্গে ছিল নানা ধরনের মুদ্রা, পাদকর্ম, শিরকর্ম, দৃষ্টিকর্ম, নাসকর্ম, ভ্রুকর্ম। এরপর এই শিল্পী একে একে উপস্থাপন করেন নারানসীমা, কোতুনাভাম, বর্ণম, কীর্তানাম, তিলানাসহ নানা আঙ্গিক। অর্থি আহমেদ উপস্থাপন করেন কৃষ্ণের শৈশবকে মেলে ধরা নাচ দেবরনামা। আজ সোমবার উৎসবের সমাপনী দিন। একই ভেন্যুতে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হবে পরিবেশনা। এদিনের পরিবেশনায় অংশ নেবে কল্পতরুর শিক্ষার্থী শিল্পীরা। ‘হাঁড়ি ফাটিবে’ নাটকের পঞ্চাশতম প্রদর্শনী ॥ তরুণ প্রজন্মের নাট্যদল এথিক। দলটির নন্দিত প্রযোজনা ‘হাঁড়ি ফাটিবে’। প্রযোজনাটির সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উদ্যাপিত হলো রবিবার। সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় হবে নাটকটির ৫০ তম প্রদর্শনী । এ উপলক্ষে প্রদর্শনী শেষে ছিল সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন মামুনুর রশীদসহ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের বিভিন্ন নাট্যদলের নাট্যকর্মী।
×