ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পানিতে ডুবে তিন ভাইবোনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২৫ জুন ২০১৮

 পানিতে ডুবে তিন  ভাইবোনের  মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২৪ জুন ॥ জেলার করিমগঞ্জে ডোবার পানিতে ডুবে তিন ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার গুনধর আশতকা মানিকপুর গ্রামের পরশ আলীর বাড়ির ডোবা থেকে ভাসমান অবস্থায় ওই তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলো-করিমগঞ্জ উপজেলার দেহুন্দা ভাটিয়া গাংপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ে জোনাকী (১০), চাঁদনী (৮) ও ছেলে সাফায়েত উল্লাহ (৪)। জানা গেছে, মায়ের সঙ্গে দু’দিন আগে বড় খালার বাড়িতে বেড়ানোর জন্য তিন ভাই-বোন জোনাকী, চাঁদনী ও সাফায়েত উল্লাহ আশতকা মানিকপুর গ্রামের খালু পরশ আলীর বাড়িতে যায়। বাড়ির পাশে খেলা করতে গিয়ে শনিবার দুপুর থেকে ওই তিন শিশু নিখোঁজ হয়। আশপাশের পুকুর-বর্ষার পানিতে জাল ফেলে তাদের সন্ধানে তৎপরতা চালানো হলেও কোন কাজ হয়নি। রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার পর ওইদিন রাতে বিভিন্ন স্থানে মাইকিংও করা হয়। কিন্তু তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রবিবার সকালে বাড়ির সামনের ডোবা থেকে ভাসমান অবস্থায় শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুরে ওই তিন শিশুর মরদেহ পার্শ্ববর্তী দেহুন্দা ভাটিয়া গাংপাড়ায় তাদের বাড়িতে নেয়া হলে সেখানে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ সময় স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে চারপাশ। . চকরিয়ায় যুবক স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার থেকে জানান, চকরিয়ায় পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে পানিতে ডুবে সাইফুল ইসলাম সবুজ নামে এক যুবকের মৃত্যু ঘটেছে। রবিবার সকালে চকরিয়া খুটাখালী চেয়ারম্যান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। সবুজ স্থানীয় বজল আহমদের পুত্র। নিহত সবুজের ভাই মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, তার ভাই সবুজ জাল দিয়ে বাড়ির পাশে পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজ করতে যায়। এ সময় তাকে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে তারা চিৎকার দেয়। সাঘাটায় শিশু নিজস্ব সংবাদদাতা গাইবান্ধা থেকে জানান, সাঘাটা উপজেলার বাদিনারপাড়া গ্রামে রবিবার পুকুরের পানিতে ডুবে মাহিম (৭) নামে এক শিশু মারা গেছে। এ সময় সাদিক (৬) নামের এক শিশু পানিতে ডুবে অসুস্থ হয়েছে। মাহিম ওই গ্রামের শাহ আলমের এবং অসুস্থ সাদিক একই গ্রামের গোলাম মওলার ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরে বন্ধুদের সঙ্গে মাহিম ও সাদিক গোসল করতে গিয়ে পানির নিচে ডুবে নিখোঁজ হয়। আশপাশে লোকজন টের পেয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে সাদিক ও মাহিমকে উদ্ধার করে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহিমকে মৃত ঘোষণা করেন। . গাজীপুরে গার্মেন্টসকর্মী খুন স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ শ্রীপুরের মুলাইদ এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে রবিবার ঝুমা আক্তার (২২) নামের এক গার্মেন্টসকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী শামীম আহমেদ পলাতক রয়েছে। নিহত ঝুমা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আহম্মদ আলীর মেয়ে এবং শামীম একই উপজেলার কুমারুলী গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে। শ্রীপুর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রায় এক বছর আগে শামীম তার স্ত্রী ঝুমাকে নিয়ে উপজেলার মুলাইদ এলাকার (মাজম আলী মোড়) আনিছুর রহমানের বাড়ি ভাড়া নেয়। ঝুমা স্থানীয় একটি গার্মেন্টেসে এবং শামীম ওই এলাকার আনোয়ারা স্পিনিং মিলে চাকরি করতো। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই ঈদের ছুটি শেষে শুক্রবার বাড়ি থেকে শ্রীপুরের ভাড়া বাড়িতে আসে। শনিবার সন্ধ্যায় তারা অফিস থেকে এসে ঘরের কাজ শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে প্রতিবেশীরা দরজা খুলে ঘরের ভেতর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহম্মদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহতের গলা, ঘাড়, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর থেকে শামীম পলাতক রয়েছে। . কুমিল্লায় যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা কুমিল্লা থেকে জানান, সোহেল নামের এক যুবককে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার সকালে দেবিদ্বার পৌর এলাকার মরিচাকান্দা গ্রামের একটি জমি থেকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। সে ওই গ্রামের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে। জানা যায়, নিহত সোহেল (২৮) মাদকাসক্ত ছিল। প্রায় ৪ বছর আগে সে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তার বাবাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছিল। তখন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। এক বছর আগে সে জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। দেবিদ্বার থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ‘নিহতের মাথা, শরীর ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন ও গলা কাটা ছিল। গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার পর সেখানে মরদেহ ফেলে রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হত্যাকা-ের নেপথ্যে কি কারণ রয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’ . কচুয়ায় গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা কচুয়া চাঁদপুর থেকে জানান, কচুয়ায় আকলিমা (২৩) নামের অন্তঃসত্তা গৃহবধূর মৃতদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ভোরে উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার সকালে নুরপুর গ্রামের আবু কাউছারের সাত মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রী আকলিমা বেগমের মৃতদেহ বাড়ির পুকুরে ভেসে থাকতে দেখা যায়। সংবাদ পেয়ে কচুয়া থানা পুলিশ আকলিমার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আকলিমার শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম ও দেবর ফজলে রাব্বিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এদিকে তার স্বামী আবু কাউসার পলাতক রয়েছে। নিহত গৃহবধূ আকলিমার বাবা আসগর আলীর দাবী পরিকল্পিতভাবে রাতে তার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে পুকুরে ফেলে রাখে। . নীলফামারীতে গৃহবধূ স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী থেকে জানান, মোমেনা বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত মোমেনা বেগম জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের সালনগ্রামের আমিনুর রহমানের মেয়ে। মোমেনা বেগমের ছোট ভাই আইয়ুব আলী অভিযোগ করে বলেন, আমার বোন মোমেনা বেগমের প্রায় তিন বছর আগে জলঢাকা পৌর এলাকার বগুলাগাড়ি গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্দুল মালেকের (২৬) সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন। ওই নির্যাতনের শিকার হয়ে শুক্রবার (২২ জুন) রাতে আমার বোনকে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার স্বামী। রবিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। মোমেনা বেগমের বাবা আমিনুর রহমান জানান, রবিবার সকাল আটটার দিকে জামাই আব্দুল মালেকের মুঠোফোনে জানতে পারি আমার মেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। আমি আমার স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও স্থানীয় লোকজন নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। সেখানে আমার মেয়ে তার ওপর শারীরিক নির্যাতনের কথা বলে। দুপুরে সেখানে আমার মেয়ের মৃত্যু হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের কারণে তার স্বামী ও শ্বশুর শাশুড়ির নির্যাতনে আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে মোমেনা বেগমের স্বামী আব্দুল মালেক অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, ডায়রিয়া রোগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোমেনার মৃত্যু হয়েছে।
×