ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ

প্রকাশিত: ০১:০৪, ২৪ জুন ২০১৮

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার দাঁড়িয়াপুর ইউনিয়নের ছোট মৌশা গ্রামের হাই স্কুল সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ব্রিজ করার জন্য কেটে ফেলায় স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন একটি বাঁশের সাকো। যার মাধ্যমে প্রতিদিন চলাচল করছে শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। বাঁশের তৈরি একটি ঝুকিপূর্ণ সাঁকোই তাদের একমাত্র ভরসা। প্রতিমাবংকি, দেওবাড়ি, হিজলপাড়া, কৈয়ামধু চোটমৌশাসহ এই এলাকার প্রায় ১০টি গ্রাম থেকে উপজেলা সদরসহ অন্যান্য স্থানের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই বাঁশের সাঁকোটি। সরেজমিন দেখা যায়, এই সাঁকো দিয়ে গ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসায়, যাতায়াত করে। শুধু শিক্ষার্থী নয়, প্রতিদিন চোটমৌশাসহ কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক লোক জীবনের তাগিদে ও দৈনন্দিন কাজে যেমন এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে তেমনি চোটমৌশা গ্রামের বেশকয়েকটি পোলট্রি ও লেয়ার মুরগীর খামারীরাসহ শতাধিক কৃষক কৃষি কাজের জন্যও সাঁকোটি ব্যবহার করেন। তবে ঝুকি নিয়ে পার হতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে এই সাঁকোতে। জানা যায়, গেল ঈদের প্রায় দুই সপ্তাহ পূর্বে এখানে ব্রিজ নির্মানের জন্য মূল রাস্তাটি কেটে ফেলা হয়। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা থাকলেও ঈদের আগ পর্যন্ত সেখানে আর কাজ করা হয়নি। আর কোন বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। পরে স্থানীয়রা উদ্যোগ নিয়ে সকলের সহযোগিতায় এই বাঁশের সাঁকোটি স্থাপন করে। ব্যবসা-বাণিজ্য, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ এবং দৈনন্দিন কর্মসংস্থানের কারণে এই সাঁকো দিয়ে গ্রামবাসীদের যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া সংশিষ্ট গ্রামগুলোর কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য পরিবহনসহ রোগীদের জরুরি চিকিৎসার জন্যও এখন যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই সাঁকো। এ অবস্থায় ব্রিজটি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার দাবি জানান এলাকাবাসি। স্থানীয় পোল্ট্রি খামারি সাগর, মিনহাজ ও জাহিদ বলেন, আমাদের মুরগির খামারের খাদ্য ও ডিম পারাপার করার জন্য খুব কঠিন অবস্থায় পরেছিলাম। কোন উপায় না দেখে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমরা স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষসহ সকলের জন্য এ বাশেঁর সাকোটি নির্মাণ করেছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, আমার জানা মতে ১০/১২ দিনের মধ্যেই এ ব্রিজের কাজ শেষ হবে। তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী আসিফের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এডিবি’র অর্থায়নে নির্মিত ব্রিজটি কবে শেষ হবে জানতে চাইলে ঠিকাদার এবি সিদ্দিক বলেন, শ্রমিক সংকটের কারণে ব্রিজটির কাজ দ্রুত শেষ করা যায়নি। তবে চলতি সপ্তাহেই কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
×