ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বুড়িগঙ্গা নদী দূষণমুক্ত ও পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করতে কাজ চলছে : পানিসম্পদমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:৩২, ২৪ জুন ২০১৮

বুড়িগঙ্গা নদী দূষণমুক্ত ও পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করতে কাজ চলছে : পানিসম্পদমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ পানি প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর ফলে শুষ্ক মৌসুমে বুড়িগঙ্গা নদীর প্রবাহ ও নাব্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং পানির দুষণের মাত্রা হ্রাস পাবে। বর্তমানে প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে এবং ২০২০ সালের জুন মাস নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কাজ সমাপ্ত হবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এ তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে ১ হাজার ১২৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এই প্রকল্পের অধীন নিউ ধলেশ্বরী, পুংলী, বংশাই ও তুরাগ নদী খননের মাধ্যমে যমুনা নদী থেকে শুষ্ক মৌসুমে ২৪৫ কিউসেক পানি প্রবাহ নিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে ১৪১ কিউসেক পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করা হবে। মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ ॥ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের লিখিত জবাবে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ জানান, ২০০৯-১০ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন ছিল ২৮ লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন। মৎস্য চাষি ও উদ্যেক্তা পর্যায়ে চাহিদাভিত্তিক কারিগরি সেবা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন। বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তিনি জানান, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। জাতীয় মাছ ইলিশকে ভৌগলিক নির্দেশক হিসেবে নিবন্ধন করা হয়েছে। এছাড়া গত অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৩০৫ মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রফতানি করে ৪ হাজার ২৮৭ কেটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। ১০ লাখ ২০ হাজার জেলের মাঝে পরিচয়পত্র বিতরণ সম্পন্ন করা রয়েছে।
×