ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এক অঙ্কের সুদ আশা জাগাচ্ছে আবাসন খাতে

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ২৪ জুন ২০১৮

এক অঙ্কের সুদ আশা জাগাচ্ছে আবাসন খাতে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্বের প্রতিটি দেশে আধুনিক নগর গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ব্যাংকিং খাত। ক্রেতার চাহিদা আর সামর্থ্য বিবেচনায় ঋণ দেয় ব্যাংকগুলো। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে চলমান ঋণ-সমস্যা বা ঋণের উচ্চ হারের সুদের কারণে দেশের আবাসন খাতে স্থবিরতা দেখা দেয়। নকশা নিয়ে বিড়ম্বনা, ক্রেতাপর্যায়ে ঋণসুবিধা না পাওয়া, অতিরিক্ত নিবন্ধন-ফি ভোগান্তি আরও বাড়িয়েছে। অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও এক লাখ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের এ খাতের সঙ্গী হয় ‘মন্দাভাব’। আবার রাজধানী ঢাকাতে প্রতিবছরই নানা অজুহাতে বাড়ির মালিকরা বাড়িভাড়া বাড়িয়ে দেন। ভাড়া দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় ভাড়াটিয়াদের। মাস শেষে বাসাভাড়া, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ মিটিয়ে নিজের কাছে আর পর্যাপ্ত টাকা থাকে না। আর তাই অনেকেরই স্বপ্ন থাকে এই শহরে একটা নিজস্ব আবাসনের ব্যবস্থা করার। এজন্য তাদের দৌড়াতে হয় ব্যাংকগুলোর কাছে। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে ব্যাংকেও চলছে একই বিড়ম্বনা, সুদের হার দ?ুই অঙ্কের। তবে এবার আশার বাণী শুনিয়েছে বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স (বিএবি)। ব্যাংকঋণেরর সুদহার এক অঙ্কে (৯ শতাংশ) নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছ তারা। একইসঙ্গে আমানতের সুদহারও সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ করার কথা জানানো হয়ে। সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে আগামী ১ জুলাই থেকে। বুধবার বিএবির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এটি করা হয় বলে জানান বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। একই দিন সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, আমানতের সুদহার না বাড়ানোর জন্য রাষ্টায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই সময় ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর, ডেপুটি গবর্নরসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে বেশ উচ্ছ্বসিত আবাসন ব্যবসায়ী, ক্রেতাসহ এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, এ সিদ্ধান্তের ফলে প্রতিবছর আবাসন খাতে যে মন্দাভাব থাকে সেটি কমে আসবে। একই সঙ্গে সুদিন ফিরবে আবাসন খাতে। আর ঋণ প্রত্যাশীরা বলছেন, অনেক ব্যাংক ও অর্থসহায়তা প্রতিষ্ঠান ঋণের জন্য অফার করে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের সুদহার বৃদ্ধি আমাকে ভাবিয়ে তুলত। আমি সাহস করতাম না ঋণ করার।
×