ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মার্ক বাংলাদেশ শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার রায় আজ

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ২৪ জুন ২০১৮

মার্ক বাংলাদেশ শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার রায় আজ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মার্ক বাংলাদেশ শিল্প এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিটির শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে আজ রবিবার। শেয়ারবাজার বিষয়ক ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর আলী শেখ এই সময় নির্ধারণ করেছেন। এর আগে কোম্পানিটির শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় ১২ জুন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। যুক্তিতর্ক শেষে গত বহস্পতিবার বিচারক মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন। এ মামলার আসামিরা হলেন- মার্ক বাংলাদেশ শিল্প এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমাম মুলকুতুর রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ও পরিচালক সালমা আক্তার। আসামিরা শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। যাদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারের আদেশ দেন বিচারক আকবর আলী শেখ। এর আগে ৬ জুন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. এম. এ রশীদ সরকার সাক্ষ্য দেন। এছাড়া ৭ মে বুয়েটের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হেলালী ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহুরুল হক এবং ১২ এপ্রিল বিএসইসির নির্বাহী পরিচালন এটিএম তারিকুজ্জামান সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যে এটিএম তারিকুজ্জামান মার্ক বাংলাদেশ শিল্প এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি পরিদর্শন করেছেন বলে জানান। এক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দ্বারা স্থায়ী সম্পদের মূল্য অনেক বেশি সত্যতা পান। এছাড়া এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে বেনামে শেয়ার বিক্রয় করে বলে সাক্ষ্য দেন তিনি। গত ৩ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্য দেন বিএসইসির আরেক নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ। যিনি মার্ক বাংলাদেশ শিল্প এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো এমন ঠক ও প্রতারক কোম্পানি জীবনে কোনদিন দেখেননি বলে সাক্ষ্য দেন। একইসঙ্গে শেয়ারবাজারে ধসের জন্য যে কয়টি কোম্পানি দায়ী, মার্ক বাংলাদেশ তার মধ্যে প্রথম সারির বলে জানান তিনি। ওইদিন ফরহাদ আহমেদ বলেন, মার্ক বাংলাদেশের স্থায়ী সম্পদের বাজার মূল্য বেশি দেখিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে কোম্পানিটির শেয়ার ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়। যার সঙ্গে কোম্পানিটির পর্ষদ জড়িত ছিল। এর আগে বিএসইসির উপ-পরিচালক এএসএম মাহমুদুল হাসান ও সাবেক উপ-পরিচালক শুভ্রকান্তি চৌধুরী সাক্ষ্য দেন। ১৯৯৯ সালে শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে ২০০০ সালে মার্ক বাংলাদেশ শিল্প এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিটিসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন উপ-পরিচালক আহমেদ হোসেন মামলা দায়ের করেন। সিকিউরিটিজ অধ্যাদেশের ২৫ ধারা অনুযায়ী এ মামলা করা হয়। সিএমএম আদালতের ১৩৬৪/২০০০ নম্বরের মামলাটি ট্রাইব্যুনালে হয়েছে ৩/১৬ নং। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ নবেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে এই ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তরিত হয়।
×