ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শৌচাগারে সন্তান জন্ম দেয়া রোখসানার স্বামী আব্দুল হক আটক

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২৪ জুন ২০১৮

শৌচাগারে সন্তান জন্ম দেয়া রোখসানার স্বামী আব্দুল হক আটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কমলাপুরে রেলস্টেশনের শৌচাগারে সন্তান জন্ম দেয়া ভারতীয় নাগরিক রোখসানা আক্তারের স্বামী আবদুল হককে আটক করেছে সরকারী রেলওয়ে থানার (জিআরপি) পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। শনিবার জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার জানান, শুক্রবার গভীর রাতে আব্দুল হককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সোমবার রোখসানার স্বামী আব্দুল হক রাজধানী আজিমপুরের বাসা থেকে স্ত্রী ও বোনকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে একজন চিকিৎসকের কাছে যান। এরপর রোখসানাকে কমলাপুর রেলস্টেশনে রেখে বোনকে নিয়ে উধাও হয়ে যান। পরে কমলাপুরে রেলওয়ে স্টেশনের শৌচাগারে সন্তান জন্ম দেন রোখসানা। এখন তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে রোখসানা জানান, দেড় বছর আগে ভারতে তাদের বিয়ে হয়েছে। ভারতের বেঙ্গালুরুতে আব্দুল হক আসবাবপত্রের দোকানে কাজ করতেন। বিয়ের আগে আব্দুল রোখসানার বাড়িতে আসবাবপত্র মেরামতের কাজ করতে যান। সেখান থেকেই তাদের পরিচয়। তিন মাস প্রেম করার পর পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ে হয়। বাংলাদেশে আসার পর রোখসানার ভারতীয় পাসপোর্ট আব্দুলের কাছেই ছিল। রোখসানার কাছে আব্দুলের কোন ছবি নেই। এমনকি কোন ফোন নম্বরও নেই। রোখসানা জানান, তার ননদের নাম নিলু। ননদের স্বামীর নাম সোলেমান। আজিমপুর কবরস্থানের কাছেই ননদের বাসা। ঘটনার দিন ননদের বাসা থেকেই ননদ এবং স্বামী আব্দুলের সঙ্গে তিনি বের হন। ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশ জানায়, রোখসানার দেয়া তথ্য অনুসারে আজিমপুর কবরস্থান থেকে ননদের স্বামী সোলেমানের খোঁজ পাওয়া যায়। সোলেমান জানান, তার স্ত্রী (রোখসানার ননদ) বাসায়। তবে রোখসানার স্বামী আবদুল কোথায় তা তিনি জানেন না। সোলেমান জানান, পাঁচ-ছয় বছর আগে আবদুল চট্টগ্রামে এক বিয়ে করেন। সেই ঘরে তার কোন সন্তান নেই। তারপর আব্দুল ভারতের বেঙ্গালুরু যান। সেখানে বিয়ে করেন। ১০ থেকে ১২ দিন আগে দ্বিতীয় স্ত্রী রোখসানাকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। রোখসানার সন্তান বর্তমানে ভর্তি আছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্পেশাল কেয়ার বেবি ইউনিটে (স্ক্যাবু)। হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন জানান, মাত্র ১ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজন নিয়ে নবজাতকের জন্ম হয়েছে। জন্ডিসসহ কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। প্রথম দিকে নল দিয়ে খাবার দিলেও এখন খাবার বন্ধ আছে। এই মুহূর্তে এ নবজাতককে আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।
×