ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোন সুযোগ নেই ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২৩ জুন ২০১৮

   বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোন সুযোগ নেই ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতি হিসাবের অঙ্ক। এখানে ভালবাসা দেয়া, প্রেম করার কোন সুযোগ নেই। এবার বিএনপিকে করুণাও করা হবে না। নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে করুণা বা প্রেম দেখানোর কোন সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির থাকার সুযোগ নেই। তাদের সঙ্গে সংলাপেরও কোন সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগের দিন শুক্রবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সুস্পষ্ট বক্তব্য নেই। বিএনপি কী চায় সেটা তারা নিজেরাও জানে না। আমরা কী চাই সেটা সুস্পষ্ট। আমরা চাই সংবিধানের নির্দিষ্ট অরবিটের মধ্যে থেকে আগামী নির্বাচন হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে সরকারের পক্ষ থেকে যা করার আমরা তাই করব। ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির কোন কথাটা সঠিক? একবার বলে তারা নির্বাচনে যাবে। আবার তারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দুই প্রস্তুতি তারা এক সঙ্গে নিচ্ছে। তারা আসলে কোনটা চায়? নির্বাচনকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিরপেক্ষতার সংজ্ঞা বিএনপির কাছে জানতে চাই। তাদের দলের পক্ষে যারা আছে তারাই নিরপেক্ষ আর সবাই হচ্ছে পক্ষপাতী। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জেতার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ ভোটের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার আমরা খুব কনফিডেন্ট। এবার আর কেউ আগেরবারের মতো জ্বালাও, পোড়াও করে পার পাবে না। কেউ যদি ২০০১ সালের রঙিন ফোয়ারা দেখতে চায়, সে রঙিন ফোয়ারা আর সফল হবে না। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের অন্তর্বর্তী সরকারে অংশগ্রহণ করতে বিএনপির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গতবার ট্রেন মিস করেছে। গতবার তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সে সময় তাদের প্রত্যাখানের ভাষা আজও আমাদের কানে বাজে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কোন পরিবর্তন আসছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যথা সময়ে সম্মেলন হবে। কাউন্সিলরা যদি চায়, তাহলে নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে এবং সময়ের প্রয়োজনে নেতৃত্বকে ঢেলে সাজানো হবে। ওবায়দুল কাদের জানান, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ১০তলা বিশিষ্ট যে নতুন কার্যালয় করা হয়েছে, সেটি আজ শনিবার উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। দলের তহবিলের টাকা দিয়েই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন জায়গায় কার্যালয় থাকলেও এবার একই ভবনে সব নেতাকর্মী একত্রিত হতে পারবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে কোথায় কোন কক্ষ থাকবে তা শেখ হাসিনা নিজে নকশা করেছেন। ওবায়দুল কাদের জানান, আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল নয়টায়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে হবে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় বর্ধিত সভা। এতে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা নেতাসহ চার হাজার ১৩৪ জন উপস্থিত থাকবেন। এরপর কিছুদিন পর আরও একটি বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে সারা বাংলাদেশের ১৩ থেকে ১৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও চেয়ারম্যানরা অংশ নেবেন। বর্ধিত সভার উদ্দেশ্য সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভিন্নমুখী চ্যালেঞ্জ আছে। নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত আছে। দেশের রাজনীতিতে ডি-এস্টাবিলাইজড করার জন্য একটি মহল তৎপর আছে। এসব বিষয়ে দলের করণীয় নিয়ে নেতাকর্মীদের দিক-নির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, উপ-দফতরসম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।
×