ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ অনুষ্ঠানে ২২ দেশের ৩৫ বাদ্যযন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২৩ জুন ২০১৮

  ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ অনুষ্ঠানে ২২ দেশের ৩৫ বাদ্যযন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গান বাংলা টেলিভিশনের আলোচিত অনুষ্ঠান ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’-এ এবার একটি অভিনব বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে। সেখানে অংশগ্রহণকারী দেশী-বিদেশী মিউজিশিয়ানদের সকলে ‘মিউজিক ফর পিস’ বা শান্তির জন্য সঙ্গীতের পক্ষে নিজেদের মতামত দিয়েছেন। তাদের মতে যুদ্ধ-বিগ্রহ ও অশান্তির এই পৃথিবীতে কেবল গানই পারে শান্তির খোঁজ দিতে। আর সেজন্য তারা গানের মাধ্যমে শান্তিকে অন্বেষণের জন্য ‘মিউজিক ফর পিস’ স্লোগানের স্বপক্ষে দাঁড়িয়েছেন। জানা গেছে গান বাংলা টেলিভিশনের প্রচার চলতি ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ অনুষ্ঠানে ‘মিউজিক ফর পিস’ স্লোগানের স্বপক্ষে এবার অংশ নিচ্ছেন ২২টি দেশের ৩৫ জন বাদ্যযন্ত্রী। একটি অনুষ্ঠানে এতগুলো দেশের বাদ্যযন্ত্রীদের অংশগ্রহণ রীতিমতো রেকর্ডের সৃষ্টি করেছে। এই ৩৫ জন বাদ্যযন্ত্রীর মধ্যে রয়েছেন- হাঙ্গেরির গার্গো বরলাই, রাশিয়ার এনটন ডেভিডিয়েন্টস, ভারতের শিবামনি, স্পেনের ড্যানিয়েল কাসারেজ, লাটভিয়ার আনা ভাইব, পাকিস্তানের মিকাল হাসান, আর্মেনিয়ার আর্টিয়ম, লথুনিয়ার আর্নেস্টা, তুরস্কের সিনান, যুক্তরাষ্ট্রের রাসিকা, সুইজারল্যান্ডের ভ্যালেরি, এস্তোনিয়ার লিন্ডা, রোমানিয়ার এন্ড্রিয়া, পোলান্ডের আলিতশিয়া, ইউক্রেনের রুসলানা, জার্মানির সেভতলানা প্রমুখ। জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ সিজন থ্রি’র প্রচার শুরু হয় ঈদের দিন থেকে। ৪ দিনের এই বিশেষ আয়োজনে বাংলাদেশী জনপ্রিয় ও খ্যাতিমান সঙ্গীতশিল্পী ২০টি গানের পরিবেশনায় অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পীদের সঙ্গে ২২ দেশের ৩৫ জন বাদ্যযন্ত্রী পারফর্ম করেন। বাংলাদেশী যেসব সঙ্গীতশিল্পী এবারের ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’-এ গান গেয়েছেন তারা হলেন- রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, চন্দন, শামীম, এ্যান্ডু কিশোর, লুইপা, কৌশিক হোসেন তাপস, মিজান, কাঙ্গালিনী সুফিয়া, শুভ, রেশমী, মিনার, ম্যাক, আগুন, হায়দার হোসেন, সুজিত মুস্তফা, রফিকুল আলম, মাখন, শিরিন, সুমন ও প্রিয়। ‘উই- অব চেইঞ্জ’ সিজন থ্রি’র সঙ্গীত পরিচালক ও অনুষ্ঠান পরিচালক হিসেবে যথারীতি নেতৃত্ব দিয়েছেন গান বাংলা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপস। তিনি বলেন, ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ ওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে বড় মিউজিক কোলাবরেশন প্রজেক্ট। এখানে এমনও মিউজিশয়ান আছেন যিনি তার মাতৃভাষা ছাড়া ইংরেজী বা অন্য কোন ভাষাও জানেন না। সেই সব মিউজিশিয়ানরাও আমাদের সঙ্গে এবার কাজ করছেন। এটা সম্ভব হয়েছে কেবল সঙ্গীতের ভাষা সারা পৃথিবীতে একই হবার কারণে। আমি মনে করি তাদের সঙ্গে কাজ করাটা আমাদের বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পীদের জন্য এটি দারুণ একটি অভিজ্ঞতার ব্যাপার হয়েছে।
×