ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিচিত্র তথ্য

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ২২ জুন ২০১৮

বিচিত্র তথ্য

প্রথম নারী রেফারি ১৯৩০ সালে বসেছিল ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম আসর। বয়স ৮৮ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। আসর হয়েছে ২০টি। তারপরও প্রতিবারই কোন না কোন প্রথমের সাক্ষী হয় ফুটবল বিশ্ব। এবারও তেমনই এক প্রথমের সাক্ষী হয়েছে বিশ্বকাপ। রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন একজন নারী। তিনি ব্রাজিলের ফার্নান্দা কলম্বো উইলিয়ানা। ব্রাজিলের ইউনিভার্সিটি অব সান্তা কাতারিনায় শারীরিক শিক্ষায় স্নাতক শেষ করেছেন ফার্নান্দা। মাঠের বাইরে মডেলিংও করেন। এছাড়া লাইন্সম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন ব্রাজিলের প্রথম বিভাগের ফুটবলে দায়িত্ব পালন করেছেন। উইলিয়ানা আলোচনায় আসেন ২০১৪ সালে ব্রাজিলের ক্লাব ত্রুজেইরো এবং আতলেতিকো মিনেইরোর ম্যাচে একটি ভুল অফসাইডের সিদ্ধান্ত দিয়ে। তখন ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন উইলিয়ানাকে দুই সপ্তাহের জন্য বরখাস্ত করে এবং মানোন্নয়নের জন্য কোর্স করায়। সূত্র : গোল ডট কম . ‘জ্যোতিষী’ বিড়াল ২০১০ বিশ্বকাপে ম্যাচের ফলাফল নির্ভুলভাবে আগাম বলে দিয়ে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল অক্টোপাস পল। এবার সেই ‘জ্যোতিষী’র ভূমিকা পালন করছে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের বাসিন্দা বিড়াল একিলিস। এরই মধ্যে নিজের ‘জ্যোতিষবিদ্যা’ প্রয়োগ করা শুরু করে দিয়েছে বিড়ালটি। অবশ্য বিশ্বকাপের কয়েক ম্যাচে তার ভবিষ্যদ্বাণী ফলেও গেছে। শ্বেত বর্ণ ও নীল চোখ বিশিষ্ট বিড়াল একিলিসের সামনে দুই বাটি খাবার রাখা হয়। প্রতিটি বাটির সঙ্গে ম্যাচের দুই প্রতিপক্ষের পতাকা লাগানো থাকে। একিলিস যেই দেশের বাটি থেকে খাবার খাবে, সেই দেশই ম্যাচ জিতবে, এটাই হলো একিলিসের ভবিষ্যদ্বাণী করার প্রক্রিয়া। এর আগেও নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করার নজির আছে একিলিসের। ২০১৭ সালের কনফেডারেশন্স কাপে সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠেয় ম্যাচগুলোর নির্ভুল ফলাফল বলে দিয়েছিল একিলিস। এমনকি একটি ম্যাচ ড্র হবে, এটিও আগাম বলে দিয়েছিল সে! দেখা যাক, একিলিসের এবারের ভবিষ্যদ্বাণী কতোটা মেলে! . নামে এত ‘সন’ কেন! হঠাৎ আলোচনায় আইসল্যান্ডের গোলকিপার হ্যান্স থর হলডারসন। তিনি প্রথম নজর কেড়েছেন আর্জেনটিনার বিপক্ষে ম্যাচে। আইসল্যান্ড ফুটবলারদের নামও নজর কেড়েছে অনেকেরই। কেননা প্রতিটি ফুটবলারের নামের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে ‘সন’ শব্দ। রাশিয়ায় আইসল্যান্ডের হয়ে খেলতে দেখা গেল, গানারসসন, সিগুরোসসন, ম্যাগনুসসন প্রমুখকে। এই নাম জন্ম দিয়েছে কৌতূহলের। এত ‘সন’-এর আধিক্য কেন নামে? ঘটনা হলো, আইসল্যান্ডের মানুষজনের বংশনাম বাবার শেষ নাম দিয়ে হয় না। নাম হয় কিছুটা ভিন্ন। ধরা যাক, জন ইনারসসন নামে এক ব্যক্তির ছেলের প্রথম নাম ওলাফুর। বাবার নাম অনুযায়ী ওলাফুরের শেষ নাম ইনারসসন হওয়ারই কথা। কিন্তু আইসল্যান্ডের মানুষজনের নাম যে একটু অন্য ধরনের। অন্য দেশের নিয়মের সঙ্গে মেলে না। তাই ওলাফুরের শেষ নাম হবে জনসসন। অর্থাৎ বাবার প্রথম নাম হবে ছেলের উপাধি। তবে সব নিয়মেরই তো ব্যতিক্রম থাকে। এই নিয়মের ব্যতিক্রমও রয়েছে। সাত-সতেরো প্রতিবেদক
×