ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুনরায় এক এগারোর আশঙ্কা ভিত্তিহীন ॥ এইচ টি ইমাম

প্রকাশিত: ০৪:৫৫, ২২ জুন ২০১৮

  পুনরায় এক এগারোর আশঙ্কা ভিত্তিহীন ॥ এইচ টি ইমাম

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ রাজনীতির মাঠে এক এগারোর কুশীলবদের সক্রিয়তা এবং পুনরায় ওই ধরনের পরিস্থিতি আবার দেশে আসতে পারে এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, এ সমস্ত প্রশ্ন একেবারেই ভিত্তিহীন। অমূলক ও আজেবাজে কথা নিয়ে আলোচনা করার মানেই হচ্ছে সময় নষ্ট করা। তবে এক এগারোর কুশীলবরা এখনও সক্রিয় বলে দাবি করেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে দলের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সভা শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ দুই নেতা এমন মন্তব্য করেন। গাজীপুর নির্বাচনে বিএনপির নেতাদের গ্রেফতার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে- এমন অভিযোগ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, খুলনায় সুষ্ঠু এবং সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচন হয়েছে। সবাই ফলাফল গ্রহণ করেছে। কিন্তু বিএনপি খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বলেছে এটা হয়নি, ওটা হয়নি। ঠিক গাজীপুর নিয়েও ওই রকম করছে তারা। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির এই চেয়ারম্যান আরও বলেন, মেয়র পদে বিএনপির যে প্রার্থী তিনি তো নড়াচড়াই করতে পারেন না। তিনি উঠে দাঁড়াতে পারেন না। এই বিষয়টা তো সাধারণ মানুষের চোখে পড়ে। গাজীপুরে বিপুল সংখ্যক মানুষ বসবাস করেন, যাদের বাড়ি টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জে। এর সবগুলোই আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা। আওয়ামী লীগ বিপুলভাবে ওইসব এলাকায় জনপ্রিয়। আর গাজীপুরে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, কাউকে হয়রানি করার প্রশ্নই উঠে না। এগুলো আমরা কিছুই করছি না। এর সবগুলোই বিএনপির অপপ্রচার। এ সময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা তো সক্রিয়। সেটা তো দৃশ্যমান এবং বিএনপির মিটিংয়ে বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ড. কামাল হোসেনরা তাদের প্রতি সহানুভূতি জানায়। এরা তো ওয়ান ইলেভেনের কুশীলব। আর বিএনপির রাজনীতি সবসময়ই ষড়যন্ত্রের। তারা ষড়যন্ত্র করার সবসময় চেষ্টা করেছে, এখনও করছে। গাজীপুরে পরাজয় আঁচ করতে পেরেই বিএনপি মনগড়া অভিযোগ করছে। যাতে পরাজিত হওয়ার পর কিছু কথা বলতে পারে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের গুছিয়ে সুন্দর করে মিথ্যা কথা বলার বিশেষ গুণ আছে। মিথ্যা বলার পারদর্শিতার কারণেই জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদ সরকারের খুব প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন তিনি। মওদুদ আহমদ জিয়াউর রহমানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এরশাদ সাহেবেরও প্রধানমন্ত্রী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। জিয়াউর রহমানের পতনের মুহূর্তেই তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে এবং এরশাদের সময় তাঁর দুর্নীতির শাস্তি হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন তখনও দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর শাস্তি হয়েছিল। কিন্তু পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের মেয়ের জামাতা হিসেবে কবির অনুরোধের প্রেক্ষিতে তাঁর শাস্তি মওকুফ করা হয়েছিল। সুতরাং তিনি বহু আগে থেকেই একজন বিতর্কিত মানুষ।
×