ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার চায় বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে না আসুক ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ২২ জুন ২০১৮

 সরকার চায় বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে না আসুক ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দল হিসেবে অবশ্যই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিএনপি চাইলেও সরকার চায় বিএনপি এ নির্বাচনে না আসুক। আর এজন্যই মামলা, হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার সব রকমের চেষ্টা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সরকার কি আওয়ামী লীগ চালাচ্ছে, নাকি অন্য কেউ এমন প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, বুধবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন অক্টোবরে অন্তবর্তীকালীন সরকার হয়ে যাবে। আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি না আসলেও অন্যান্য দল আসবে। বিএনপি না আসুক আওয়ামী লীগতো সেটাই চায়। সরকারকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবশ্যই নির্বাচনের মতো হতে হবে। তাই এখনও সময় আছে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কথা বলুন। সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আর এজন্য বর্তমান সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। সবার আগে গণতন্ত্রের প্রতীক কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। ফখরুল বলেন, আদালত হচ্ছে একটি রাষ্ট্রের আশা ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল। অথচ এখন সেই আদালতে যেতেও আমাদের ভয় হয়। কারণ আদালতকে ব্যবহার করেই দেশের জনপ্রিয় ও গণতান্ত্রিক নেত্রী খালেদা জিয়াকে মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ তাই অবিলম্বে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে তার মুক্তিও দাবি করছি। আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন, হেলিকপ্টার চড়ে ঘুরে ঘুরে ভোট চাইবেন আর বিরোধী দলকে একটা কথাও বলতে দেবেন না, তাদেরকে ধরে ধরে নিয়ে জেলে ভরবেন এভাবে করলে তো হবে না। নির্বাচনের মাঠ থাকতে হবে সবার জন্য সমান। দেশের নির্বাচনকালীন সামাজিক সংস্কৃতি অনুযায়ী একটি নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। সংবাদপত্রের কালো দিবসের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে এখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। কারণ, তখন সংবাদপত্র বন্ধ করতে আইন করে রাষ্ট্রীয় বিধান করা হয়েছিল। এখন গণতন্ত্রের লেবাস লাগিয়ে তার চেয়ে বেশি করা হচ্ছে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।
×