ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোরে ১৬২০ গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে নতুন বাড়ি

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ২২ জুন ২০১৮

    নাটোরে ১৬২০ গৃহহীন  পরিবার পাচ্ছে নতুন বাড়ি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ২১ জুন ॥ ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার অঙ্গীকার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে নাটোরে নতুন বাড়ির মালিক হচ্ছেন ১৬২০টি গৃহহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২’র অধীনে ‘জমি আছে যার, ঘর নাই তার’ শীর্ষক প্রকল্পে গৃহহীনদের বাড়ি করে দিচ্ছে সরকার। আর প্রতিটি বাড়ি নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ টাকা। ১৬২০টি বাড়ি নির্মাণে মন্ত্রণালয় মোট ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। জেলার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে। সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে গৃহহীনদের তালিকা তৈরি নিয়ে কিছু কিছু এলাকায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বানু জানান, তালিকা তৈরিতে কিছু কিছু এলাকায় অনিয়মের খবর পেয়েছিলাম। সে সময় স্থানীয় সংসদের কঠোর নির্দেশনার কারণে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনিয়ম করতে পারেনি। তারপরও কোন এলাকার অনিয়মের তথ্যপ্রমাণ থাকলে অভিযোগসাপেক্ষে সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র জানায়, যাদের এক শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ জমি রয়েছে, কিন্তু ঘর নেই বা থাকলেও তা বসবাসের অনুপযোগী এমন ব্যক্তিরা এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করবেন। এছাড়া দুস্থ, অসহায় মুক্তিযোদ্ধা, বিধবা মহিলা, স্বামী পরিত্যক্ত মহিলা, শারীরিকভাবে পঙ্গু ও আয় উপার্জনে অক্ষম, ভিক্ষুক, অতিবার্ধক্য এবং পরিবারের আয় উপার্জনক্ষম সদস্য নেই এমন ব্যক্তিরাও এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্প ‘আশ্রয়ণ-২’ এর আওতায় নাটোর জেলায় মোট ১ হাজার ৬২০ পরিবারকে গৃহনির্মাণ করে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। এদের মধ্যে নাটোর সদরে ৪০০, নলডাঙ্গায় ৪০০, বাগাতিপাড়ায় ১০০, সিংড়া ২৯৩, লালপুরে ১৫৭, বড়াইগ্রামে ১৪০ ও গুরুদাসপুরে ১৩০ জন। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি পরিবার টিনশেডের চৌচালার একটি ঘর, একটি বাথরুম এবং একটি করে টিউবওয়েল পাবেন। আর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সদস্য সচিব, উপজেলা প্রকৌশলী এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সদস্য করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা থাকলেও বরাদ্দ দেরিতে পাওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠবে না বলে জানান সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা। গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্পের গৃহহীনদের গৃহনির্মাণ বাবদ ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বরাদ্দ পাওয়ার পর ইতোমধ্যে আমরা ৫ পরিবারের ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আরও ৩০ জনের ঘর নির্মাণ হয়ে যাবে। জুন মাসের মধ্যেই সব গৃহহীনে গৃহনির্মাণ করা সম্ভব হবে। বড়াইগ্রাম উপজেলার নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজ বলেন, প্রতিঘর নির্মাণ বাবদ এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আমরা সে বরাদ্দের মধ্যেই ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। এখন ঘর নির্মাণের জন্য খুঁটি তৈরি করা হচ্ছে।
×