ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

টেকনাফ স্থলবন্দরে বাড়ছে রাজস্ব আয়

প্রকাশিত: ০৪:২১, ২২ জুন ২০১৮

  টেকনাফ স্থলবন্দরে বাড়ছে রাজস্ব আয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে প্রতিবছরই বাড়ছে রাজস্ব আয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে গত বছর থেকে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়ন চললেও এর কোন প্রভাব পড়েনি বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্যে। বছর শেষ হওয়ার আগেই রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে বলে দাবি বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে গত ১০ মাস ধরে বর্ডার পাস ট্রানজিট যাতায়াত বন্ধ থাকায় বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। উপজেলা প্রশাসন বলছে, বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বৃহত্তর চট্টগ্রামে চালু থাকা একমাত্র স্থলবন্দর টেকনাফ। এর মাধ্যমে চলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্য। কিন্তু গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতার জেরে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বন্দরের পণ্য আমদানি রফতানি। তবে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উত্তেজনা থাকলেও এখন পরিবর্তন এসেছে দুদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে। এখন টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন নিয়ম মাফিক মিয়ানমার থেকে আসছে চাল, কাঠ, ছোলা, মাছ, বার্মিজ আচারসহ অর্ধশতাধিক পণ্য। আর বাংলাদেশ থেকে রফতানি হচ্ছে কাপড়, সিরামিকসহ পঞ্চাশটিও বেশি পণ্যসামগ্রী। আমদানি-রফতানি পণ্য ওঠানামার কাজ করছে শ্রমিকরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বন্দরের কার্যক্রম। তবে রোহিঙ্গা সংকটের কারণে গত ১০ মাস ধরে দুদেশের মধ্যে বর্ডাস পাস ট্রানজিট যাতায়াত বন্ধ থাকলেও ব্যবসা-বাণিজ্যে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে না বলে দাবি বন্দর কর্তৃপক্ষের। টেকনাফ স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মোটামুটি একটু কমেছিল তবে আবার স্বাভাবিক হয়েছে, কোন সমস্যা নেই। উপজেলা প্রশাসনের এ কর্মকর্তা জানালেন, ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে পুনরায় বর্ডার পাস চালু করার বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরাও একটি প্রতিবেদন দিয়েছি, দেখা যাক কর্তৃপক্ষ কী কি সিদ্ধান্ত নেয়।’ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বন্দরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৯০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। গত এপ্রিলে বন্দরের আয় একশ’ ১১ কোটি ৬ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে।
×