ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইস্টার্ন ক্যাবলের এজিএম ৩০ জুন

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২১ জুন ২০১৮

 ইস্টার্ন ক্যাবলের এজিএম ৩০ জুন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করেছে ইস্টার্ন ক্যাবল লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জুন বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গায় অবস্থিত কারখানা প্রাঙ্গণে এজিএম করবে সরকারের প্রকৌশল কোম্পানিটি। অন্যান্য তথ্য অপরিবর্তিত থাকবে। ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডা অনুমোদনের জন্য গত ১৮ জানুয়ারি বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কারখানা প্রাঙ্গণে এজিএম আয়োজন করার কথা ছিল ইস্টার্ন ক্যাবলের। অনিবার্য কারণে তা স্থগিত করায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এজিএম সম্পন্ন হয়নি তাদের। এ কারণে গত মাসে স্টক এক্সচেঞ্জে ‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে কোম্পানিটি। ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কারণে এর শেয়ারের বিপরীতে কোন মার্জিন ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। সূত্রে জানা গেছে, এজিএমের রেকর্ড ডেট ছিল ৩০ নবেম্বর। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে ইস্টার্ন ক্যাবলের পরিচালনা পর্ষদ। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, এ সময় শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১৯ পয়সা আয় (ইপিএস) করেছে ইস্টার্ন ক্যাবলস। আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩৫ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৩০ টাকা ৬১ পয়সায়। এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই ২০১৭-মার্চ ২০১৮) ইস্টার্ন ক্যাবলের ইপিএস হয়েছে ৫১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১৫ পয়সা। ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় ইস্টার্ন ক্যাবলস। ২০১৫ হিসাব বছরে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পান ইস্টার্ন ক্যাবলসের শেয়ারহোল্ডাররা। ডিএসইতে সর্বশেষ ২০৫ টাকায় ইস্টার্ন ক্যাবলের শেয়ার কেনাবেচা হয়, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে প্রায় ৭ শতাংশ বেশি। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল ১৩৬ টাকা ও সর্বোচ্চ ২৫৫ টাকা। বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের অধীনস্থ কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে আসে ১৯৮৬ সালে। এর অনুমোদিত মূলধন ৬০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ২৪ কোটি ও রিজার্ভ ৪৯ কোটি ২ লাখ টাকা। কোম্পানির ৫১ শতাংশ শেয়ার বাংলাদেশ সরকারের কাছে, উদ্যোক্তা-পরিচালক দশমিক শূন্য ১, প্রতিষ্ঠান ১৬ দশমিক ২৩ ও বাকি ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
×