ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বে ৭ কোটি মানুষ উদ্বাস্তু ॥ সংখ্যা বাড়ছেই

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ২০ জুন ২০১৮

 বিশ্বে ৭ কোটি মানুষ উদ্বাস্তু ॥ সংখ্যা বাড়ছেই

বিশ্বে প্রতি ১১০ জন মানুষের একজন বাস্তুচ্যুত। ধীরে ধীরে এই সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েই চলছে। বর্তমানে বিশ্বে ৬৮.৫ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা এ তথ্য দিয়েছে।- খবর গার্ডিয়ান। সংস্থাটির বিশেষ শুভেচ্ছাদূত মার্কিন অভিনেত্রী এ্যাঞ্জেলিনা জোলি সম্প্রতি সিরিয়ায় ত্রাণের ঘাটতিকে ‘ভয়ানক মানবিক বিপর্যয়’ বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা পূর্বের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। দেখা গেছে, বিশ্বের ১৬.২ মিলিয়ন মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। যে সব মানুষ প্রথমবারের মতো অথবা বেশ কয়েকবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র যেতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের এই হিসেবে ধরা হয়েছে। তথ্যে বলা হয়েছে, বিশ্বে মোট ৬৮.৫ মিলিয়ন মানুষ বর্তমানে বাস্তুচ্যুত হয়ে বেঁচে আছেন। এর মধ্যে ২৫.৪ মিলিয়ন শরণার্থী, ৪০ মিলিয়ন অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ও ৩.১ মিলিয়ন আশ্রয়প্রার্থী রয়েছেন। তবে দুঃখের বিষয় এই যে, ৫ মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুতকে তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়ার পরও বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বের মোট শরণার্থীর দুই-তৃতীয়াংশই ৫টি দেশে। এর মধ্যে রয়েছে- সিরিয়ার ৬.৩ মিলিয়ন, আফগানিস্তানের ২.৬ মিলিয়ন, দক্ষিণ সুদানের ২.৪ মিলিয়ন, মিয়ানমারের ১.২ মিলিয়ন ও সোমালিয়ার ৯ লাখ ৮৬ হাজার ৪ শ’ মানুষ। জাতিসংঘের বিশেষ দূত অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র পরিচালক জোলি সিরিয়ায় সংস্থাটির ত্রাণের ব্যাপক ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করার পর বাস্তুচ্যুত মানুষের নতুন সংখ্যাটি উত্থাপিত হয়। ৭ বছরের চলমান গৃহযুদ্ধে সিরিয়ার একটি ব্যাপক জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যুত হয়ে আছে। গত রবিবার জোলি ইরাকে সিরীয় শরণার্থীদের ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। হলিউডের এই অভিনেত্রী ইরাকের উত্তরাঞ্চলের ‘ডোমিজ ক্যাম্প’ এ যান, যেখানে প্রায় ৩৩ হাজার শরণার্থীর বাস। এর আগের দিন আগে তিনি ইরাকের ঐতিহ্যবাহী মসুল নগরীতে গিয়েছিলেন। ইরাকি বাহিনী গত বছর ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গীদের হটিয়ে মসুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। আইএস প্রায় ৩ বছর ধরে মসুল দখল করে ছিল এবং তাদের ঘোষিত ‘ইসলামিক খেলাফতের’ গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল নগরীটি। ওই সময় মসুলের প্রায় ৯ লাখ বাসিন্দা প্রাণ বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। -দ্য গার্ডিয়ান
×