ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লম্পট স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তনের পর স্ত্রী শ্রীঘরে

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ২০ জুন ২০১৮

   লম্পট স্বামীর  পুরুষাঙ্গ  কর্তনের পর স্ত্রী শ্রীঘরে

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক লম্পট স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনায় স্ত্রী দোলন বেগমকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামের এই ঘটনায় লম্পট স্বামী সোলায়মান মুন্সীকে (৪০) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রক্তমাখা ব্লেড উদ্ধার করে জব্দ তালিকা করা হয়েছে। তবে উদ্ধার হয়নি কর্তনকৃত পুরুষাঙ্গ। পুলিশ জানায়, কর্তনকৃত পুরুষাঙ্গটি স্ত্রী পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। কেয়ার জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসাল্টেন্ট (সার্জারি) ডাঃ সঞ্জীব কুমার ঘোষ এই প্রসঙ্গে জানান, পুরুষাঙ্গটি ছয় ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া গেলো জোড়া লাগানো সম্ভব ছিল। কারণ ছয় ঘণ্টার পর আর টিস্যুগুলো ঠিক থাকে না। এই সম্পর্কে শ্রীনগর থানার ওসি এসএম আলমগীর বলেন, ‘লম্পটের পুরুষাঙ্গ জোড়া লাগানোর দরকারটা কি?’ স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, লম্পটের পুরুষাঙ্গ জোড়া লাগুক এটি কেউ চাননি। তাই তেমন খোঁজাখুঁজিও হয়নি। তবে তার জরুরী চিকিৎসার জন্য এলাকাবাসী দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোলায়মান মুন্সী সম্পর্কে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে পরিবারের লোকজন জানান, সে এখন শঙ্কামুক্ত। তবে যতদিন বেঁচে থাকবেন পুরুষাঙ্গহীন বেঁচে থাকতে হবে। এদিকে স্থানীয় লোকজন লম্পট স্বামীর বিরুদ্ধে সোচ্চার স্ত্রীকে গ্রেফতারে নাখোশ। লম্পট স্বামীর বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এই ঘটনায় শ্রীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় দোলন বেগমকে আদালতের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এই প্রসঙ্গে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) কাজী মাকসুদা লিমা বলেন, ‘যেহেতু আইন হাতে তুলে নেয়া হয়েছে এবং এই বিষয়ে ভিক্টিমের বড় ভাই মামলা করেছেন সে কারণেই দোলন বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দোলন বেগম অকপটে পুরো ঘটনা স্বীকার করেছে।’ যদি বাবার কাছেও কন্যা সুরক্ষিত না থাকে তখনই গুরুতর সঙ্কট। সেজন্য ধর্মীয় মূল্যবোধ আরও জাগরুক করার বিষয়টিকে গুরুত্বারোপ করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশ জানায়, শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী শ্বশুরবাড়ি থেকে ঈদের ৩/৪ দিন আগে রোকসানা আক্তার (২০) বাবা-মার সঙ্গে একত্রে ঈদ উদ্যাপন করতে নিজ বাড়ি শ্রীধরপুর আসে। পরবর্তীতে রাতে লম্পট পিতা সোলায়মান মুন্সী (৪০) নিজ মেয়ে রোকসানার ঘরে ঢুকে তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। মেয়ে তার মা দোলন বেগমকে বাবার এই কা- খুলে বলে। তার মা কন্যাকে পার্শ্ববর্তী চাচার ঘরে ঘুমাতে দিয়ে আসেন। নিজ মেয়েকে চাচার ঘরে পাঠানোর কারণে পিতা সোলায়মান লালসা পূরণ না করতে পারায় স্ত্রী দোলনকে মারধর করে চাচার ঘর থেকে মেয়েকে নিয়ে আসতে বলে। নিজের মেয়ের প্রতি এ ধরনের কুপ্রস্তাবে অসহ্য হয়ে স্বামীকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য ঈদের দিন রাতে সেমাইর সঙ্গে ঘুমের বড়ি মিশিয়ে দেয় দোলন। পরে স্বামীর হাত-পা বেঁধে ব্লেড দিয়ে পুরুষাঙ্গটি কর্তন করে আলাদা করে ফেলেন। চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দোলন বেগমকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
×