ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পটিয়ায় গ্রামীণ সড়কের বেহাল অবস্থা

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ১৯ জুন ২০১৮

পটিয়ায় গ্রামীণ সড়কের বেহাল অবস্থা

নিজস্ব সংবাদদাতা,পটিয়া, ১৮ জুন ॥ গ্রামীণ সড়কে হাঁটু পরিমাণ বৃষ্টির পানি জমে থাকায় চট্টগ্রামের পটিয়ায় ঈদ আনন্দে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ, উপজলার জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম ও কোলাগাঁও ইউনিয়নের বাদামতলাসহ কয়েকটি স্পটে বৃষ্টির পানি এখনও জমে থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পানির স্রোতে জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম এলাকার একটি চলাচল রাস্তাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ওই রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ঈদ আনন্দ করতে যাওয়া লোকজন। বিচ্ছিন্ন রাস্তায় লাফ দিয়ে যুবক, যুবতি থেকে শুরু করে শিশুরা পারাপার হচ্ছে। ঈদের একদিন আগে একটানা তিনদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে গ্রামীণ সড়কের এই দশা হয়েছে। গ্রামীণ সড়ক ছাড়াও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের শাহ আমানত তৃতীয় সেতু থেকে শুরু করে পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে খানাখন্দক হয়েছে। ফলে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে গ্রামীণ সড়কে বেহাল দশা হলেও জনপ্রতিনিধিরা দুর্ভোগ কমাতে তাৎক্ষণিকভাবে কোন ব্যবস্থা নেননি। তবে এজন্য দায়ী করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট দফতরকে। জানা গেছে, উপজেলার শোভনদ-ী ইউনিয়নের রশিদাবাদ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে শত শত গাড়ি চলাচল করে থাকে। পটিয়ার বর্তমান সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর বাড়ি ছাড়াও ওই গ্রামে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছে। মহাজন হাট থেকে শুরু করে রশিদাবাদ সড়কটি দীর্ঘতম। বর্তমানে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসানুল হকের বাড়ি ঘাটাসহ আরও কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকায় ঈদ আনন্দে দুর্ভোগ হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) অর্থায়নে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হলেও চলতি বর্ষা মওসুমে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে ওই সড়কের কয়েকটি স্পটে ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন সংসদ সদস্যের বাড়ি ছাড়াও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসিরের বাড়িতে পৃথকভাবে মেজবানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপজেলা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা যোগ দিতে গিয়ে রাস্তায় দুর্ভোগের কবলে পড়েন। একইভাবে উপজেলার জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম সড়কের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ঈদ আনন্দ করতে যাওয়াদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির প্রাক্তন সহ-সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্যের বাড়ি তাদের এলাকায় হলেও দৃশ্যমান কোন কাজ হয়নি। তাছাড়া পটিয়াতে যেসব উন্নয়ন কাজ হয়েছে তার কোন সঠিক তদারকি হয়নি। যার কারণে প্রতিটি কাজেই অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। ভুয়া প্রকল্পে স্বাক্ষর না দেয়ায় পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে।
×