ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পরকীয়ার অভিযোগ

বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন করল স্বামী

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৪ জুন ২০১৮

 বিদেশ থেকে বাড়ি  ফিরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন  করল স্বামী

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১৩ জুলাই ॥ কনকদিয়া ইউনিয়নের কাঠিকুল গ্রামের আউয়াল বয়াতি নামের এক প্রবাসী তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রাফিয়া বেগমকে (২৫) হত্যা করেছে। পরকীয়া প্রেমের সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, কাঠিকুল গ্রামের মৃত রফিক বয়াতির ছেলে আউয়াল বয়াতির (৩৫) সঙ্গে ৬ বছর আগে নারায়ণপাশা গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে রাফিয়া বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তামিম নামের ৫ বছরের একটি ছেলে আছে। আউয়াল বয়াতির বাবা-মা নেই। বিয়ের পর তিনি সৌদি আরব চলে যাওয়ার পর স্ত্রী রাফিয়া বেগম চাচা শ্বশুর আলমগীর বয়াতি ও স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করতেন। আউয়াল বয়াতি সর্বশেষ ৬-৭ মাস আগে বাড়িতে আসেন। এরপর তিনি মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কাউকে কিছু না বলে গ্রামের বাড়ি চলে আসেন এবং স্ত্রী রাফিয়া বেগমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাটি করেন। একপর্যায়ে তাকে খুন করেন। পরে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে রাফিয়া বেগমের মুখে বিষ ঢেলে দেন। স্থানীয়রা জানায়, আউয়াল বয়াতি বিদেশে থাকা অবস্থায় বাড়ির জমিজমা চাচা আলমগীর বয়াতি ভোগদখল করতেন। বিদেশ থেকে টাকা পয়সাও তার নামে পাঠাতেন। বিয়ের পর স্ত্রী রাফিয়া বেগম সবকিছু দেখভাল করতে থাকেন। এতে আলমগীর বয়াতি ও তার স্ত্রী রাফিয়ার ওপর ক্ষুব্ধ হন। তারা রাফিয়াকে শায়েস্তা করতে পরিকল্পিতভাবে সৌদি আরবে অবস্থানরত তার স্বামী আউয়াল বয়াতির কাছে স্ত্রী রাফিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করতেন। রাফিয়া পরকীয়া প্রেম করছে বলেও আউয়াল বয়াতিকে মানসিকভাবে ক্ষুব্ধ করে। যার কারণে আউয়াল বয়াতি দেশে এসে স্ত্রী রাফিয়াকে হত্যা করে। রাফিয়া বেগম এ সময় ৬ মাসের অন্তঃসত্তা ছিলেন বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ৮টা বাউফল থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল। ঘাতক আউয়াল বয়াতি গা ঢাকা দিয়েছেন।
×