ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

হাতিয়া-চেয়ারম্যানঘাট রুটে ঝুঁকিপূর্ণ নৌ যোগাযোগ

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ১৪ জুন ২০১৮

 হাতিয়া-চেয়ারম্যানঘাট রুটে ঝুঁকিপূর্ণ নৌ যোগাযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, হাতিয়া, ১৩ জুন ॥ ঈদ আসলেই সরকার নৌপারাপারের ওপর তদারকি বৃদ্ধি করে। ফিটনেস বিহীন যান চলাচল বন্ধ, অতিরিক্ত যাত্রী বহনে নিষেধাজ্ঞা, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সতর্ক থাকা, বছরের অন্য সময়ের চেয়েও দু’টি ঈদে সরকারের সংশ্লিষ্ট অধিদফতর খুবই সজাগ থাকে। কিন্তু দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মূল ভূ-খন্ডে সঙ্গে নৌ যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সি-ট্রাক দুটি না থাকায় এ রুটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ঝুঁকিপূর্ণ নৌযানে নদী পারাপার হতে দেখা যায়। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। ঈদকে সামনে রেখে এখানে সরকারের বিশেষ কোন তদারকি নেই বললেই চলে। প্রতিদিনই যাত্রীরা ছোট ছোট নৌযানে নদী পার হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ছোট নৌযানে নদী পারাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঈদকে সামনে রেখে কেউ তা মানছেন না। হাতিয়ার নলচিরা-চেয়ারম্যানঘাট নৌ-রুটে সি-ট্রাক চলাচলকারী একমাত্র সি-ট্রাক শেখ ফজলুল হক মনি গত ১৪ এপ্রিল থেকে বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি)। ফলে এই রুটে জেলা সদরে যাতায়াতকারী দ্বীপের বাসিন্দারা সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। যাদের অনেকে বাধ্য হয়ে উত্তাল নদীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে যাতায়াত করছেন। জানা গেছে, হাতিয়া থেকে জেলা সদরে যাতায়াতের জন্য দুইটি সি-ট্রাক রয়েছে। এর একটির নাম আবদুর রব সেরনিয়াবাত, যেটি হাতিয়ার চরচেঙ্গা- চেয়ারম্যানঘাট রুটে চলাচল কলত। আর অপর সি-ট্রাকটি হলো শেখ ফজলুল হক মনি। এটি চলাচল করত হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাট-নলচিরা নৌ-রুটে। এই দুইটি রুটে সি-ট্রাকে চড়ে গড়ে প্রতিদিন দেড়-দুই হাজার যাত্রী হাতিয়া যাতায়াত করতেন। এখন তাদের বেশিরভাগই ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে যাতায়াত করছেন। বিআইডব্লিউটিসির সার্টার এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, চরচেঙ্গা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে চলাচলকারী আবদুর রব সেরনিয়াবাত নামের সি-ট্রাকটি যান্ত্রিক ত্রুটি সারাতে সাড়ে চার মাস আগে বিআইডব্লিউটিসির নারায়ণগঞ্জ ডক-ইয়ার্ডে পাঠানো হয়, যা অদ্যবধি মেরামত হয়ে আসেনি। এই সময় ওই রুটের যাত্রীদের বেশিরভাগই নলচিরা-চেয়ারম্যাঘাট রুটে চলাচলকারী সি-ট্রাক শেখ ফজলুল হক মনির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। কিন্তু তাদের শেষ ভরসাটুকুও বন্ধ হয়ে যায় গত ১৪ এপ্রিল থেকে। কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ সি-ট্রাক শেখ ফজলুল হক মনির চলাচল বন্ধ করে দেন।
×