ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিভাগীয় পর্যায়ে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ চালু ॥ সংসদে ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ১৩ জুন ২০১৮

বিভাগীয় পর্যায়ে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ চালু ॥ সংসদে ধর্মমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ দেশের বিভাগীয় পর্যায়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে অন্তঃধর্মীয় সংলাপ চালু রয়েছে। ধর্মীয় উগ্রপন্থা তথা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এবং অসাম্প্রদায়িক জাতি, রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদবিরোধী নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানান ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। তিনি জানান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুম্মার প্রাক-খুৎবায় নিয়মিত সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদবিরোধী বক্তব্য প্রদান করা হচ্ছে। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ, চরমপন্থী ও প্রতিহিংসা নিরসনে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে প্রদত্ত জুম্মার প্রাক-খুৎবা অনুসরণ করে এর আলোকে খুতবা প্রদানে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ইমাম-খতিব, আলেম-ওলামাদের সমন্বয়ে কর্মশালা ও র‌্যালির আয়োজন ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। সারাদেশে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির ৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জনসচেনতা সৃষ্টির জন্য ইমামগণকে ধারণা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী জানান, দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে বাস্তবায়নাধীন ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের পুরোহিত ও সেবাইতদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই পর্যন্ত ২১ হাজার ২৯০ জন পুরোহিত ও সেবাইতদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমানে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ও মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম শীর্ষক দুটি প্রকল্প সারাদেশে চলমান আছে। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, দেশের মসজিদের ইমামদের সরকারীভাবে বেতন ভাতা সুবিধা প্রদান করা হয় না এবং এ উদ্যোগ গ্রহণে সরকারের আপাতত কোন পরিকল্পনা নেই। তবে, ইমাম ও মুয়াজ্জিন কলাণ ট্রাস্টে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অর্থ থেকে তাদের জন্য এককালীন অনুদান ও সুদবিহীন ঋণ প্রদান করা হয়।
×