ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চালু হচ্ছে কাওড়াকান্দি পুরনো লঞ্চঘাট

প্রকাশিত: ০৭:০০, ১০ জুন ২০১৮

চালু হচ্ছে কাওড়াকান্দি পুরনো লঞ্চঘাট

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ৯ জুন ॥ ঈদে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ঘরে ফিরবে মাদারীপুর জেলার কাঁঠালবাড়ি ঘাট হয়ে। ঈদকে সামনে রেখে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি। পাশাপাশি বাড়তি চাপ সামলাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালু করা হচ্ছে শিবচরের কাওড়াকান্দি পুরনো লঞ্চঘাট। জানা গেছে, এ দুই ঘাট এলাকায় যানজট নিরসনে দূরপাল্লার, লোকাল বাস ও মাইক্রোবাসের জন্য থাকছে ঘাটে প্রবেশের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র সংবলিত স্টিকার। নিয়মিত চলাচলকারী ফিটনেস সমৃদ্ধ পরিবহনকেই ঘাটে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। এছাড়া এ্যাপ্রোচ সড়ক থেকে ঘাটে প্রবেশের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত প্রায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে কোন অবৈধ যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানা গেছে। এদিকে যাত্রীদের বাড়তি চাপ নিয়ন্ত্রণে ও ঘাট এলাকায় যাতে যানজটের সৃষ্টি হয়ে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার না হয়, সেদিক বিবেচনা করে পুরাতন কাওড়াকান্দি ঘাট চালু করা হচ্ছে। ওই ঘাট দিয়ে শুধুমাত্র লঞ্চযোগে পারাপার হওয়া দূরপাল্লার পরিবহনের যাত্রীরা পারাপার হবে। সেক্ষেত্রে দক্ষিণাঞ্চলের দূরপাল্লার উল্লেখসংখ্যক পরিবহন কাঁঠালবাড়ি ঘাটের পরিবর্তে কাওড়াকান্দি ঘাটে অবস্থান করবে এবং যাত্রীদের একটি বড় অংশই কাওড়াকান্দি ঘাট হয়ে ঘরে ফিরতে পারবে। এতে কোন ঘাট এলাকায় যানজট থাকবে না বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কাঁঠালবাড়ি ঘাট সূত্রে জানা গেছে, কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া রুটে ৮৭ লঞ্চ, দু’শতাধিক স্পিডবোট ও ১৯ ফেরি চলাচল করছে। তবে ঈদের আগে আরও দুটি ফেরি যুক্ত হবে। মাদারীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ঘরে ফেরা মানুষের কোন রকম ভোগান্তি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধ এবং সন্ধ্যার পর স্পিডবোটও চলাচল বন্ধ থাকবে। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিসি টিভি ক্যামেরা। র‌্যাব, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিসসহ তিন শতাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। জেলা ও উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে নিয়মিত। আবহাওয়াজনিত কোন সমস্যা তৈরি হলে সাধারণ যাত্রীদের লঞ্চের পরিবর্তে ফেরিতে পদ্মা পার করা হবে।’
×