ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনে না আসার অজুহাত খুঁজছে বিএনপি ॥ মতিয়া

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১০ জুন ২০১৮

নির্বাচনে না আসার অজুহাত খুঁজছে বিএনপি ॥ মতিয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ৯ জুন ॥ বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার অজুহাত খুঁজছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। তিনি শনিবার দুপুরে নকলা উপজেলায় মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে উপহার ও প্রণোদনা এবং গরিব-দুস্থদের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণকালে মন্তব্য করে বলেন, বিএনপি তো ধাপ্পাবাজ একটি রাজনৈতিক দল। তারা নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে জেনেই নির্বাচন থেকে সরে আসতে নানান পাঁয়তারা করছে। বিএনপির উদ্দেশে মতিয়া চৌধুরী বলেন, কোন একদল খেলায় অংশগ্রহণ না করলেও কোন খেলাই থেমে থাকে না এবং থাকবেও না। কে নির্বাচনে আসবে আর না আসবে, এটা তাদের দলীয় অবস্থানের বহির্প্রকাশ। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্ধারিত সময়েই সংবিধান মোতাবেক আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলে বিনা কারণে কোন মায়ের বুক খালি করা হয়নি। যেমনটা করেছে ওই সন্ত্রাসী বিএনপি দল। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৮ ও ১৯৯০ সালেও রোহিঙ্গারা এদেশে এসেছিল, তখন জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া তাদের দেখতে পর্যন্ত যায়নি। অথচ ২০১৬ সালে আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিকই তাদের বাঙালীদের মতোই দেখছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, আমরা ১৬ কোটি লোক খাওয়াইতে পারলে আর না হয় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমদের খাওয়াইতে পারব ইনশাল্লাহ। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, শেখ হাসিনা বাপের বেটি। তিনি দেশকে উন্নয়নের দিকে নিতে চান। একটা দেশকে ধ্বংস করার জন্য যুব সমাজকে বিপথগামী করতে পারলেই যথেষ্ট। বিএনপি সরকারের আমলে যুবসমাজকে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত করা হয়েছিল। দেশ যখন বিপথের দিকে, ঠিক সে সময়েই শেখ হাসিনা যুব সমাজকে রক্ষায় মাদক নির্মূলে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছেন। অথচ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশের যুবসমাজকে ধ্বংস করার উদ্দেশে ৩৬০টি মদের লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে মাদক ব্যবসা চালু করেন। তিনি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, মাদকের সঙ্গে জড়িত সে যে দলেরই হোক না কেন, তাকে কোন প্রকার ছাড় দেয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের কেউ যদি এ অপকর্ম করে ধরা পড়ে, তাহলে কোন প্রকার সুপারিশ তো দূরের কথা, তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। ঈদসামগ্রী বিতরণকালে মন্ত্রীর সঙ্গে শেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, নবাগত পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মাহবুবুল আলম সোহাগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব কুমার সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটনসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এদিন মন্ত্রী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৫১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটির ৮ম শ্রেণীর টপটেনদের মাঝে ৫১০টি থ্রিপিস, ৯ম শ্রেণীর টপটেনদের মাঝে ৪৮০টি শাড়ি ও ১০ম শ্রেণীর মেধাবী প্রথম ১০ জন করে মোট ৪৮০ মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে ৫শ’ টাকা করে মোট ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রণোদনা বিতরণ করেন। এছাড়া গরিব ও দুস্থদের মাঝে শাড়ি, ট্রাউজার-গেঞ্জি সেট, শার্ট ও খেজুর বিতরণ করেন তিনি।
×