ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে বছরে

৭০০০ নারীর অকাল মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১০ জুন ২০১৮

৭০০০ নারীর অকাল মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা জরিপ ২০০১ সালের তথ্য অনুযায়ী ২০ শতাংশ নারীর মৃত্যু ঘটে প্রসবকালীন জটিলতার কারণে এবং ২০১০ সালে তা কমে ১৪ শতাংশে দাঁড়ায়। ‘বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা জরিপ ২০১৬ : প্রাথমিক প্রতিবেদন’ অনুযায়ী বর্তমানে এক লাখ সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে ১৯৬ নারী মারা যাচ্ছে। যা ২০১০ সালে ছিল ১৯৪। এর মধ্যে ২০ থেকে ৩৪ বছর বয়সী নারী বেশি মারা যাচ্ছেন। গর্ভধারণ জনিত জটিলতা প্রসবকালে বা প্রসবের পর ৪২ দিনের মধ্যে কোন প্রসূতির মৃত্যু হলে তাকে প্রসূতির মৃত্যু বলা হয়। নারীপক্ষ এবং নীতি বাস্তবায়নে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডার আলোকে শনিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের নারীর স্বাস্থ্য প্রজনন অধিকার সুরক্ষা’ শীর্ষক একটি সংলাপের আয়োজন করা হয়। এতে মূল ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন নারীপক্ষের সদস্য সামিয়া আফরিন। তিনি বলেন, ‘সমাজে নারীর অনগ্রসর অবস্থান পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল স্তরে নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সামাজিক কুসংস্কার প্রভৃতি কারণে এখনও বছরে সাত থেকে আট হাজার নারী সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে অকালে প্রাণ হারান।’ সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক এম আব্দুস সালাম, নিপোর্টের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব রৌনক জাহান এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিচালক (এমসিএইচ সার্ভিস) এবং লাইন ডিরেক্টর (এমসিএইচ) ডাঃ মোহাম্মদ শরীফ। আলোচক ছিলেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ লায়লা পারভিন বানু, বিশ্ব ব্যাংকের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ডাঃ আসিব নাসিম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সরকারের তিনটি জরিপের তথ্য অনুযায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে সন্তান প্রসবের হার বেড়েছে। ২০০১ সালের জরিপে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রসবের হার ছিল মাত্র ৯ শতাংশ। ২০১০ সালে তা হয় ২৩ শতাংশ। ২০১৬ সালের জরিপে তা হয়েছে ৪৭ শতাংশ। কিন্তু সারাদেশে শুধু ৩ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্বাভাবিক প্রসবের জন্য ন্যূনতম মানদণ্ড পূরণ করেছে। এখন পর্যন্ত ৫১ শতাংশ নারীর সন্তান প্রসব হচ্ছে বাড়িতে। তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন প্রায় ১৬ জন নারী বা প্রতিবছর ৫ থেকে ৬ হাজার নারী সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যাচ্ছেন। যার ৯৫ শতাংশই প্রতিরোধযোগ্য। ২০০৯ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয় যে, প্রসূতি মৃত্যুর অধিক হার ও প্রসবজনিত রোগ অগ্রহণযোগ্য এবং তা প্রতিরোধযোগ্য বলে ঘোষিত হয়। প্রসূতি মৃত্যুর বর্তমান হার জীবনে বেঁচে থাকার অগ্রাধিকারকে লঙ্ঘন করে, যা নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘনও বটে। প্রজনন স্বাস্থ্যনীতি ও কর্মসূচীর আলাদা দুর্বলতা উল্লেখ করে সংলাপে জানানো হয়, সরকারের নীতি সম্পর্কে বেশির ভাগ মানুষ অবগত নয়, নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য একীভূত তথ্য নেই এবং সংগৃহীত তথ্যের জেন্ডারভিত্তিক বিশ্লেষণ দুর্বল, চিকিৎসকদের মাঠ পর্যায়ের কর্মস্থলে নিয়মিত অবস্থান অনেকাংশেই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না কৈশোরকালীন ‘প্রজনন স্বাস্থ্য কৌশলপত্র ২০০৬’ এর আংশিক বাস্তবায়ন, সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন ভিত্তিক সরঞ্জাম ও ওষুধ সরবরাহের স্বল্পতা, উপজেলা পর্যায়ে ২৪ ঘণ্টা জরুরী প্রসূতি সেবা চালু না থাকা, সেবাদানকারীদের জবাবদিহিতার অভাব, সেবা প্রতিষ্ঠান ও মাঠ কার্যক্রমের নিয়মিত পরিবীক্ষণের অভাব, সনাতনী দাই, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দাই ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সুসম্পর্ক ও সমন্বয়ের অভাব এবং হাসপাতাল ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা নিয়মিত না হওয়া। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৪ অর্থবছর পর্যন্ত সরকারীভাবে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের গড় জিডিপির শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ মাত্র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী এই খাতে বাজেট বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন জিডিপির ৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য খাতে মোট খরচের ক্ষেত্রে সরকারী ব্যয়ের পাশাপাশি জনগণের নিজস্ব খরচের পরিমাণ ১৯৯৭ সালের ৫৬ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৫ সালে ৭১ দশমিক ৮২ শতাংশ হয়েছে। আলাদা করে নারী স্বাস্থ্যের জন্য কোন বাজেট নেই বলে সংলাপ অনুষ্ঠানে জানানো হয়। নারীপক্ষ নারীর সমঅধিকার ও সমমর্যাদা অর্জনের জন্য বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট ও ভিন্নমুখী কর্মসূচীর একটি হচ্ছে- স্থানীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় জবাবদিহিতা তৈরি ও সেবার মান উন্নয়নে ‘প্রসূতির মৃত্যু তথ্য নিবন্ধন পদ্ধতি শক্তিশালীকরণ গবেষণা কার্যক্রম। যা ২০১৫ সালে বরগুনা জেলায় পরিচালনা করা হয়েছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘প্রসূতির মৃত্যু নিবন্ধন পদ্ধতি শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক গবেষণা কার্যক্রমটি বরগুনা জেলার ছয়টি উপজেলার চারটি পৌরসভা এবং ৪২টি ইউনিয়ন পরিষদে পরিচালনা করেছে। গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল- প্রসূতি মৃত্যুর তথ্য নিবন্ধনে সেবাদানকারীদের জবাবদিহিতা তৈরি, ইউনিয়ন পরিষদের নিবন্ধন খাতায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে প্রতিটি প্রসূতি মৃত্যুর তথ্য সঠিকভাবে নিবন্ধন ও লিপিবদ্ধ করা এবং তথ্য রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে সক্রিয়করণ। নিবিড় পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদে যারা জন্ম-মৃত্যু তথ্য সংগ্রহ লিপিবদ্ধকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না, গর্ভাবস্থায় প্রসবকালীন এবং প্রসবের পর ৪২ দিনের মধ্যে কোন প্রসূতি মারা গেলে সেটাও যে প্রসূতির মৃত্যু- এই বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের পরিষ্কার ধারণা ছিল না। এছাড়া আরও কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। গবেষণার ফলে ৪২টির মধ্যে ৩৭টি ইউনিয়ন পরিষদ স্থায়ী কমিটি সক্রিয় হয়েছে এবং তারা নিয়মিত প্রতি দুই মাস অন্তর সভা করার মাধ্যমে প্রসূতির মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়টি নিরক্ষণ করছে একই সঙ্গে মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য কিছু বিষয়ও নিয়মিত হচ্ছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গত ১০ বছরে উন্নয়নশীল অর্থনীতি গড় প্রবৃদ্ধি যখন ৫ দশমিক ১ শতাংশ, তখন আমাদের গড় প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। সরকারী বিনিয়োগ বেড়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৭৫৯ মার্কিন ডলার থেকে ১ হাজার ৭৫২ মার্কিন ডলার। দ্বিগুণের অনেক বেশি। মুদ্রাস্ফীতি অনেক কমেছে। বাজেটের আয়কর বেড়েছে ৮৯ হাজার কোটি টাকা থেকে ৪ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকায়। বার্ষিক রফতানি ১৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। আমদানিও বেড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দিক থেকে দেশ এগিয়ে যাওয়ার চিত্র তিনি তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের ইতিবাচক হতে হবে। ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভাল দিকগুলো আলোচনা কম হয়। আমি ভাল ভাল দিকগুলো বেশি বেশি বলতে চাই। অনকে ভাল ভাল প্রাকটিস আমাদের মধ্যে আছে। ভাল কাজের দিক থেকে আমরা অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে আছি। আমাদের ইতিবাচক কথা বলার অভ্যাস করতে হবে। তাহলে শক্তি বেশি পাওয়া যায়। কাজ করার সাহস পাওয়া যায়।’ আলোচকের বক্তব্যে ডাঃ লায়লা পারভিন বানু বলেন, ‘সেবাদানকারী লোকগুলো কেন্দ্রে কেন থাকছেন না, সে কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং তারা যাতে কেন্দ্রে থাকেন সে ব্যাপারে কিছু পদক্ষেপ এবং পরিকল্পনা নিতে হবে। তাদের কিছু বাধ্যবাধকতার ভেতর নিয়ে আসলে তারা অবশ্যই গ্রামে থেকে সেবা দিতে বাধ্য হবেন। নারী স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কোন বাজেট নেই এটা আমাদের ঠিক করতে হবে।’ তৌফিক মারুফ বলেন, ‘আমাদের উদ্যোগের কোন ঘাটতি নেই। অন্য যেকোন খাতের চেয়ে এই খাতে উদ্যোক্তা বেশি আছে। তবে সমস্যা আছে। মফস্বলে সব জায়গাতে দেখা যায় ডাক্তার নার্স বা অন্যান্য যে স্টাফ তারা নিয়মিত থাকেন না। মনিটরিং-এর ঘাটতি রয়েছে।এছাড়া তাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। তাদের আত্মশুদ্ধি করে মাঠে নামাতে হবে। মনিটরিং সরকার একার করলে হবে না। আমাদের সকলেই করতে হবে।’ কে এম আব্দুস সালাম বলেন, ২০০৯ সালের তুলনায় যদি এখনকার বাজেট দেখা যায় তাতে তিন-চার গুণ বেড়েছে। আমরা ২০৪০ সালের একটা টার্গেট করেছি। সেই চিন্তা করেই আমাদের এগোতে হবে। আমরা দিন দিন সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এসডিজি প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামা হয়েছে। আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে, এসডিজি বাস্তবায়ন করব তা নয়। আমাদের এমন প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে আমরা এসডিজি বাস্তবায়ন করবই করব। রৌনক জাহান বলেন, নিপোর্ট স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। আমি মনেকরি যে, আজকে স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা যে পর্যায়ে আছে, এতে নিপোর্টের একটা বড় অবদান রয়েছে। আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। সে চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবেলা করে সমন্বিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে। ডাঃ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রসূতি মৃত্যুর জন্য দায়ী স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিক। সেখানকার সিজারিয়ান পদ্ধতিতে সমস্যা রয়েছে। অদক্ষ লোকজনই সেখানে সিজার করেন, যার ফলে প্রসূতি মৃত্যু সেখানেই বেশি হয়।’ নারীর স্বাস্থ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংলাপে নারীপক্ষ সুপারিশ করে- গর্ভাবস্থা, প্রসবকালীন এবং প্রসবোত্তর সকল সময়ে জরুরী প্রসূতি সেবা, জটিল স্বাস্থ্যসেবার একটি সম্মতি কার্যক্রমে প্রবেশাধিকার থাকবে, যা প্রসূতির জীবন বাঁচানোর জন্য দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে দেয়া, নারী নিজে বাড়িতে সন্তান প্রসব করাতে চাইলে সেখানে তার নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষিত দাই, প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আইসিপিডি এবং সিইডিএডাবলিউর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলো সংযুক্ত করা, সকল কর্মে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যবিষয়ক কোন অনুস্বাক্ষরকৃত আন্তর্জাতিক সনদের আলোকে আইন নীতিমালা ও কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সংশোধন করা। শনিবার সকাল ১০টায় সিরডাপ মিলনায়তনে নারীপক্ষ এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে ‘বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডার আলোকে বাংলাদেশে নারীর স্বাস্থ্য ও প্রজনন অধিকার সুরক্ষা’ শীর্ষক একটি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত, তৌফিক মারুফ, সভাপতি, বাংলাদেশ হেলথ্ রিপোটার্স ফোরাম। সভাপত্বি করেন রাশেদা কে. চৌধুরী, কর্মদলের সদস্য, এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ও নিবার্হী পরিচালক, গণসাক্ষরতা অভিযান। সংলাপে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নারীর স্বাস্থ্য ও প্রজনন অধিকার বিশেষজ্ঞ, গবেষক, সমাজকর্মী এবং সাংবাদিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপ¯ি’ত ছিলেন। এছাড়াও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, উবিনীগ, হোওয়াট রিবন এ্যালায়েন্স, কারিতাস বাংলাদেশ, ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, বাপসা, ব্র্যাক, সচেতন সমাজ সেবা হিজড়া সংঘ, এফপিএবি ও এডিডি ইন্টারন্যাশনাল সহ অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপ¯ি’ত ছিলেন। এসডিজি ২০৩০ সালের মধ্যে বিশেষ করে অভীষ্ট ২ এবং ৫ পুরন করতে হলে সকল পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা দানকারীদের জবাবহিতা নিশ্চিত করতে হবে, এনজিওদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে, পরিবীক্ষণ ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। স্বাধীনতা উত্তর চার দশকে বাংলাদেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামো প্রশংসনীয় স্তরে উন্নীত হয়েছে। যার ফলে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে এবং বাংলাদেশের নারীর স্বাস্থ্য ও প্রজনন অধিকার (অভীষ্ট ৩, ৫) নিশ্চিত করতে হলে এ সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জসমূহ নির্ধারণ ও তা মোকাবিলায় করণীয় স¤পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই এই সংলাপের আলোচনা করা হয়েছে।
×