ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন এই বলি তারকারা

প্রকাশিত: ২১:২৫, ৮ জুন ২০১৮

সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন এই বলি তারকারা

অনলাইন ডেস্ক ॥ সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর জনসমক্ষেই তাঁদের ‘এক্স’দের যাচ্ছেতাই ভাবে অপমান করেছিলেন এই বলি তারকারা। মিডিয়ার সামনেও করেছিলেন নানা কুরুচিকর মন্তব্য। সম্পর্কের রসায়নের চেয়েও তাঁদের ব্রেক-আপের কেচ্ছা নিয়ে অনেক বেশি চর্চা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কী এমন বলেছিলেন এই তারকারা? জেনে নিন এখান থেকে। সাইফ আলি খান-অমৃতা সিংহ: প্রায় ১৩ বছরের দাম্পত্যে চিড় ধরার পর প্রকাশ্যে প্রাক্তন স্ত্রী অমৃতার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বলিউডের ছোটে নবাব। তিনি বলেছিলেন, “অমৃতার অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ অসহ্য। কেউ যদি আবিরাম আপনার মা ও বোনকে অপমান করে তা হলে কেমন লাগে? আমার সঙ্গে এ সব কিছুই হয়েছে। এর চেয়ে ভাল আমি একজন হট ও সেক্সি মেয়েকে বিয়ে করব।” শিল্পা শেট্টি-অক্ষয় কুমার: রবিনার সঙ্গে ব্রেক-আপের পর অক্ষয়ের জীবনে এসেছিলেন শিল্পা। কিন্তু, সেই সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। ব্রেক-আপের পর মিডিয়ার সামনে শিল্পা বলেছিলেন, “অক্ষয় আমাকে ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। আমি জানি একদিন এর ফল ও পাবে। জানি অতীত ভোলা শক্ত, তবে আমি আমার জীবনে এগিয়ে গিয়েছি।’’ ঐশ্বর্য রাই-সালমান খান: ঐশ্বর্য-সলমনের প্রেম ও বিচ্ছেদ ছিল এক সময় বি-টাউনের হট টপিক। ব্রেক-আপের পর সালমানের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও এনেছিলেন ঐশ্বর্য। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সালমান যখন তখন আমার সঙ্গে খারাপ ভাষায় কথা বলত। আমায় সন্দেহ করত। নেশা করে এসে আমার গায়ে হাতও তোলে। তাই সম্পর্ক থেকে আমি বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি।’’ সাজিদ খান-জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ: জ্যাকলিনের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো নাকি একেবারেই ভাল ছিল না! ব্রেকআপের পর নায়িকার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছিলেন সাজিদ। বলেছিলেন, ‘‘আপনি নিশ্চয় এমন মেয়ে চাইবেন না যে সব সময় আপনাকে বিরক্ত করবে। হিম্মতওয়ালা ছবির শুটিংয়ের মাঝেই জ্যাকলিনকে নিয়ে পাঁচ দিনের ছুটি কাটাতে যেতে হয়েছিল। তারপর, সিনেমাটা ফ্লপ করে।’’ প্রীতি জিন্টা-নেস ওয়াদিয়া: ২০১৪ সালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে খেলা চলাকালীন গ্যালারিতে দর্শকদের সামনেই প্রীতিকে হেনস্থা করেন নেস। ক্যামেরাবন্দি হয়ে সে দৃশ্য ভাইরালও হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রীতির দাবি ছিল, অত্যন্ত কুরুচিকর ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন নেস। তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থা ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রীতি। শাহিদ কপূর-কারিনা কাপূর: শাহিদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার সময়েই সাইফের ঘনিষ্ঠ হন কারিনা। ব্রেক-আপের পর শাহিদ বলেছিলেন, ‘‘বুঝতে পারছি আমি খুব ভাল বয়ফ্রেন্ড নই। তবে, কিছু পছন্দ কখনওই সঠিক হয় না।’’ সম্পর্কে ইতি পড়ার পর দু’জনকে এক সঙ্গে অভিনয় করতেও দেখা যায়নি। রণবীর কাপূর-দীপিকা পাদুকোন: রণবীরকে নিয়ে নাকি খুবই পজেসিভ ছিলেন দীপিকা। দূরত্ব বাড়লেও নাকি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাননি তিনি। শোনা গিয়েছে, ‘রাজনীতি’ ছবির শুটিংয়ের সময় নাকি ক্যাটরিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছিল রণবীরের। ব্রেক-আপের পর ‘কফি উইথ কর্ণ’ টক শো-এ এসে দীপিকা বলেছিলেন, ‘‘রণবীরের যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা হল কন্ডোম।’’ হৃতিক রোশন-কঙ্গনা রানাউত: কঙ্গনা-হৃতিকের সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়ায় বিস্তর জলঘোলা হয়। কঙ্গনা নানাবিধ অভিযোগ আনলেও সম্পর্কের কথা একেবারেই অস্বীকার করেছিলেন হৃতিক। প্রকাশ্যে একে অপরের চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। বি-টাউনে গুঞ্জন হৃতিক-কঙ্গনার সম্পর্কের নানা কেচ্ছা সামনে আসার আসার পরই নাকি হৃতিকের সঙ্গে প্রায় ১৩ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানেন সুজান। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×