ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘প্রক্রিয়াজাত তামাক রফতানিতে ২৫% শুল্ক প্রত্যাহার’

দেশে তামাকের ব্যবহার কমাতে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব মুহিতের

প্রকাশিত: ০৭:২৭, ৮ জুন ২০১৮

দেশে তামাকের ব্যবহার কমাতে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব মুহিতের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশে তামাকের ব্যবহার কমাতে দাম বাড়ানোর পাশাপাশি লাভজনক এই খাত থেকে আরও লাভ করতে তামাক রফতানি উৎসাহিত করার পরিকল্পনা বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর অংশ হিসেবে প্রক্রিয়াজাত তামাক রফতানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন মুহিত। সেখানে ফিল্টারযুক্ত বিড়ির ক্ষেত্রে ২০ শলাকার প্যাকেটের মূল্য ১২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। নিম্নতম মূল্য স্তরের সিগারেটের ১০ শলাকার দাম ২৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩২ টাকা বা তার বেশি এবং সম্পূরক শুল্ক ৫২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। মধ্যম স্তরে দশ শলাকার সিগারেটের মূল্য ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪৮ টাকা; সম্পূরক শুল্ক ৬৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৫ শতাংশ হবে। উচ্চস্তরের দশ শলাকার সিগারেটের দাম ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা এবং ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখার কথা বলা হয়েছে। উচ্চস্তরের ১০ শলাকার যে সিগারেটের দাম এখন ১০১ টাকা, তার দাম ও ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক অপরিবর্তিত থাকবে। মুহিত বলেন, আগামী দিনের লক্ষ্যমাত্রা হবে নিম্নতম স্তর ৭৫ টাকায় উন্নীত করা যেখানে সম্পূরক শুল্ক হবে ৬৫ শতাংশ। অন্য সিগারেটের জন্য তখন একটি একটি সুপিরিয়র স্তর থাকবে, যেখানে সম্পূরক শুল্ক হবে আরও বেশি। সন্তুষ্ট নয় তামাকবিরোধীরা ॥ অর্থমন্ত্রী মুহিত তামাক নিয়ন্ত্রণের যে পরিকল্পনা নতুন অর্থবছরের বাজেটে উপস্থাপন করেছেন, তা ‘যথেষ্ট’ বলে মনে করছে না তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা এবং এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা। এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠন দুটি বলছে, সরকার উচ্চস্তরের (দশ শলাকা ১০১ টাকা) সিগারেটের দাম ও সম্পূরক শুল্প গত তিন বছর ধরে অপরিবর্তিত রাখার মাধ্যমে বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলোর ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে।
×