ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আবেগতাড়িত আচরণ জিসিসির স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি ॥ কাতার

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ৮ জুন ২০১৮

আবেগতাড়িত আচরণ জিসিসির স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি ॥ কাতার

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি তার দেশের বিরুদ্ধে আরোপিত অবরোধ ও এর আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ে কথা বলেছেন আল জাজিরার সঙ্গে।- আল জাজিরা। এক বছর ধরে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন অবস্থায়। কাতার সন্ত্রাসের প্রতি সমর্থন দিচ্ছে এবং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতাকে উসকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ এনে দেশগুলো এ উদ্যোগ নেয়। উপসাগরীয় এ দেশটির সঙ্গে স্থল ও সমুদ্রসীমা বন্ধ করে দেয়া হয়, বিমানপথ স্থগিত করা হয় এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী দেশগুলোতে কাতারী নাগরিকদের বহিষ্কার করা হয়। বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানিকারী দেশ কাতার এ উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) সঙ্কটে কেমন অবস্থানে রয়েছে? এবং চলমান বিরোধে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে উপসাগরীয় অঞ্চলের ভবিষ্যত? জিসিসির ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক এ কূটনৈতিক সঙ্কট, অবরোধের প্রভাব এবং রাশিয়ার কাছ থেকে দোহার সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের ব্যাপারে সৌদি আরবের সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের হুমকি নিয়ে আল-জাজিরার সঙ্গে আলাপ হয়েছে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থানির। থানি আল-জাজিরাকে বলেছেন, যে কোন সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় একটি সার্বভৌম সিদ্ধান্ত। এবং এর বিরুদ্ধে অন্য কোন দেশের কিছু করার নেই। ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে লেখা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সৌদি বাদশাহ সালমানের চিঠি এবং কাতারের বিরুদ্ধে হুমকির পেছনে কোন আইনগত ভিত্তি নেই। দেশটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। সকল আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করছে এবং অত্যন্ত গুরুত্ববহ যে, দেশটি জিসিসি সনদ লঙ্ঘন করছে। সনদে বলা হয়েছে, জিসিসিভুক্ত দেশগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আক্রমণ চালাবে না। থানি বলেন, এ অঞ্চলে উত্তেজনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দুঃখজনক যে এর বৃদ্ধির কারণ, অবরোধকারী দেশগুলোর আবেগতাড়িত আচরণ। তিনি বলেন, আমাদের সকল বন্ধুভাবাপন্ন ও সহযোগী দেশগুলোকে অঞ্চলে উত্তেজনা রোধে ভূমিকা রাখতে হবে। বিষয়টি তাদের বুঝতে হবে যে, এ অঞ্চলের আরও উত্তেজনার মধ্য দিয়ে চলা সম্ভব নয় এবং যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও জিসিসিভুক্ত অন্য দেশগুলোর এক শক্তিশালী সহযোগী দেশ। এ সঙ্কট অবসানের কোন আশা রয়েছে কিনা এর জবাবে আল থানি বলেন, কাতার সংলাপের যে কোন সম্ভবতায় আন্তরিক এবং এ সংলাপের ভিত্তি হবে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি মর্যাদা এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি মর্যাদা। তিনি বলেন, দেশগুলো কোন সার্বভৌম দেশের ওপরই কোন দাবি চাপিয়ে দিতে পারে না।
×