ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রুবাইয়াত হোসেনের নতুন চলচ্চিত্র ‘মেড ইন বাংলাদেশ’

প্রকাশিত: ০৮:২২, ৭ জুন ২০১৮

রুবাইয়াত হোসেনের নতুন চলচ্চিত্র ‘মেড ইন বাংলাদেশ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রুবাইয়াত হোসেনের নতুন চলচ্চিত্র ‘মেড ইন বাংলাদেশ’-এর শূটিং শেষ হয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলচ্চিত্রটির টানা শূটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে গত ১ জুন। একটানা ৩৬ দিন ঢাকা এবং গাজীপুরে শূটিং হয়েছে। ‘মেহেরজান’ ও ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ নির্মাণের পর এটি রুবাইয়াতের পরিচালিত তৃতীয় চলচ্চিত্র। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ চলচ্চিত্রের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু, দীপান্বিতা মার্টিন, মায়াবি মায়া, নভেরা রহমান ও পারভীন পারু। আরও রয়েছেন মুস্তাফা মনোয়ার, শতাব্দী ওয়াদুদ, জয়রাজ, মোমেনা চৌধুরী, ওয়াহিদা মল্লিক জলি ও সামিনা লুৎফা। এছাড়া দুটি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিতা চৌধুরী ও ভারতের শাহানা গোস্বামী। চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণে ফরাসী চিত্রগ্রাহক সাবিন ল্যাঞ্চেলিন ও বারাকাত হোসেন পলাশ, শব্দগ্রহণে এলিশা আলবার্ট, শিল্প নির্দেশনায় ভারতের জোনাকি ভট্টাচার্য ও গ্যাফার হিসেবে পাওলো ডি সিলভা। সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন রাজিব রাফি ও মাহদি হাসান এবং এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার আদনান ইমতিয়াজ আহমেদ ও অং রাখাইন। চলচ্চিত্রের মূল ট্রযোজক ফ্রঁসোয়া দ্য’আক্তেমেয়ার (ফ্রান্স) ও আশিক মোস্তফা (বাংলাদেশ) এবং যৌথ প্রযোজক হিসেবে আছেন পিটার হায়েল্ডাল (ডেনমার্ক) ও পেদ্রো বোর্হেস (পর্তুগাল)। আজ ৫ জুন থেকে চলচ্চিত্রের সম্পাদনার কাজ শুরু হবে। ফ্রান্স ও ডেনমার্কে হবে চূড়ান্ত সম্পাদনা ও পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। বাংলাদেশের খনা টকিজ ও ফ্রান্সের লা ফিল্মস দ্য এপ্রেস-মিডির ব্যানারে নির্মিত এই ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী বছর। ২০১৬ সালের লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবে ওপেন ডোরস ল্যাব এ অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট ডেভেলপমেন্টের কাজ। এরপর ২০১৭ সালে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের স্ক্রিপ্ট স্টেশন, হংকং ফিল্ম ফাইন্যান্সিং ফোরাম ও লোকার্নো ওপেন ডোরস হাবে অংশগ্রহণ করে চিত্রনাট্যের কাজ চূড়ান্ত করার পাশাপাশি চলে অর্থায়নের কাজ। চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে রুবাইয়াত হোসেন বলেন, আমি একজন মেয়ে তাই আমার নির্মিত চলচ্চিত্রে মেয়েদের গল্প বলতে চেষ্টা করি, বিশেষ করে যেসব মেয়ে সমাজে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে তাদের গল্প বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি মনে করি চলচ্চিত্র এমন একটি মাধ্যম যেখানে অনায়াসে এ সব গল্প বলা যায়। সমাজের মানুষের অধিকারের কথা তুলে ধরা যায়। রুবাইয়াত হোসেন জানান ফ্রান্স, ডেনমার্ক, পর্তুগাল ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই চলচ্চিত্রের মূল অর্থায়ন এসেছে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য প্রদত্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনুদান থেকে যার মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স সরকারের সিএনসি ফান্ড, নরওয়ে সরকার প্রদত্ত সোরফন্ড প্লাস, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন প্রদত্ত ইউরিমাজ ফান্ড ও ডেনমার্কের ড্যানিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট ফান্ড। এছাড়াও গতবছর লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের ওপেন ডোরস-এ অংশ নিয়ে চিত্রনাট্যের জন্য জিতে নিয়েছে আর্টে ইন্টারন্যাশনালের নগদ পুরস্কার। অনুদান ছাড়াও ছবিটির পরিবেশক ও আন্তর্জাতিক বিক্রয় প্রতিনিধি ফ্রান্সের শীর্ষস্থানীয় পরিবেশক পিরামিড ফিল্মস অর্থ বিনিয়োগ করেছে।
×