ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উইম্বলডনেও সংশয়ে সেরেনা উইলিয়ামস

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ৬ জুন ২০১৮

উইম্বলডনেও সংশয়ে সেরেনা উইলিয়ামস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে ঠিকই ফ্রেঞ্চ ওপেনে অংশগ্রহণ করেছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। কিন্তু চতুর্থ রাউন্ড থেকেই সরে দাঁড়াতে হয়েছে ইনজুরি সমস্যায় পড়ে। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ জীবন্ত কিংবদন্তি টেনিস তারকা নিজেই শঙ্কায় আছেন পরবর্তী গ্র্যান্ডস্লাম আসর উইম্বলডনে অংশ নিতে পারবেন কিনা। বিষয়টি নিশ্চিত হবে ডাক্তারের রিপোর্ট পাওয়ার পর। প্যারিসেই তিনি ডাক্তার দেখাচ্ছেন। এ সপ্তাহেই সেরেনার ইনজুরি পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। গত ১৪ বছর ধরেই শারাপোভার ওপর একচেটিয়া প্রাধান্য বিস্তার করেছেন তিনি। সর্বশেষ মোকাবেলায় টানা ১৮ ম্যাচ শারাপোভার বিপক্ষে জিতেছেন সেরেনা। এরপরও দুইজনের সাপে-নেউলে সম্পর্কের কারণে বিশ্বব্যাপী টেনিস ভক্ত-সমর্থকরা অধীর হয়ে অপেক্ষায় থাকেন দু’জনের লড়াই দেখতে। এবার ফ্রেঞ্চ ওপেনে সেই সুযোগটা দীর্ঘদিন পর পেয়েছিলেন সবাই। কিন্তু গত সোমবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মারিয়া শারাপোভার বিপক্ষে ম্যাচের আগে হঠাৎ করেই সরে দাঁড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেন আমেরিকান টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তি। মূলত ইনজুরির কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তার এই চোট সার্ভ করার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করছিল। যে কারণেই নাম প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন সেরেনা। তিনি নাম প্রত্যাহার করে নেয়ার ফলে ফ্রেঞ্চ ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিলেন মারিয়া শারাপোভা। শুধু তাই নয়, এই চোটের কারণে উইম্বলডনেও খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে ২৩ গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী সেরেনা উইলিয়ামসের। ক্যারিয়ারে ৮ বার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ গ্র্যান্ডস্লাম আসর উইম্বলডনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সেরেনা। নিজের ইনজুরি নিয়ে সেরেনা বলেন, ‘মঙ্গলবার আমি আমার এমআরআই করিয়েছি। আমার এখানেই (প্যারিসে) থাকতে হবে এবং কিছু ডাক্তারকে দেখাতে হবে। যতজন সম্ভব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেব। আর সেসবের ফলাফল না জেনে আমি এখনও নিশ্চিত হতে পারছি না উইম্বলডন সম্পর্কে।’ গত বছর জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছিলেন। সেটিই ছিল সেরেনার সর্বশেষ গ্র্যান্ডস্লাম আসর। তারপর নেমেছিলেন ফ্রেঞ্চ ওপেনে। সেটাও শেষ করতে পারলেন না। অথচ নাম প্রত্যাহার করার আগ পর্যন্ত তাকে বেশ সাবলীল ও স্বাভাবিকই মনে হচ্ছিল। ৬ দিনে একক ইভেন্টে ও বড় বোন ভেনাসের সঙ্গে দ্বৈত মিলিয়ে খেলে ফেলেছিলেন ৬ ম্যাচ। সেরেনা আরও বলেন, ‘আমি সবসময় যতটা সম্ভব ত্যাগ স্বীকার করার চেষ্টা করি। সুতরাং এটা আমার জন্য খুবই হতাশাজনক। তাছাড়া আমি নিজেকে নিয়ে সর্বদা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকি। যখন ৬০ ভাগও ফিট থাকি তখন আমার দল, কোচ তাদের আমি বলি না যে খেলতে চাই।’ আগামী ২ জুলাই শুরুর হবে উইম্বলডন আসর। তাই শারীরিকভাবে ফিট হয়ে ওঠার যথেষ্ট সময় পাবেন সেরেনা। ২০০৪ সালে প্রথমবার উইম্বলডনে সেরেনার মুখোমুখি হয়েছিলেন শারাপোভা অল ইংল্যান্ড ক্লাবে। সেই ম্যাচে ১৭ বছর বয়সী স্বর্ণকেশী কিশোরী শারাপোভা সবাইকে চমকে দিয়ে সেরেনাকে পরাজিত করে উইম্বলডন শিরোপা জিতেছিলেন। এ কারণেই শারাপোভা এক ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ‘আমার মনে হয় সেরেনা আমাকে ঘৃণা করে সেইজন্য যে একটা রোগাটে বাচ্চা তাকে পরাজিত করেছিল উইম্বলডনে। খুব বেশিদিন হয়নি আমি তাকে তার এক বন্ধুকে বলতে শুনেছিÑ আমি কখনই আর ওই (অশ্লীল গালি) বাচ্চাটির কাছে হারতে চাই না।’ তবে চতুর্থ রাউন্ডে যারা হেরে গেছেন কিংবা সরে দাঁড়িয়েছেন তারা ২ লাখ ২২ হাজার ইউরো (২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার) পকেটে পুরেছেন। সেরেনাও এই পরিমাণ অর্থ নিয়েই এখন নিজেকে ফেরানোর চেষ্টা করবেন।
×