ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পলাশবাড়ি থানায় জিডি পাল্টানোর অভিযোগ ॥ প্রতিকার দাবি

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ৬ জুন ২০১৮

পলাশবাড়ি থানায় জিডি পাল্টানোর অভিযোগ ॥ প্রতিকার দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ৫ জুন, গাইবান্ধা ॥ পলাশবাড়ি থানায় জহুরুল ইসলামের দায়ের করা ব্যাংকের চেক বই হারানোর জিডি পাল্টিয়ে ফেলেছে পুলিশ। অথচ জিডির মূল কপিটি যথারীতি নম্বর ও গ্রহণকারীর স্বাক্ষরসহ অভিযোগকারীর কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। তদুপরি হরিণাবাড়ির পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই নজরুল ইসলাম প্রদত্ত তদন্ত প্রতিবেদনে উক্ত জিডির বিষয়ে উল্লেখ আছে। এদিকে হারানো চেক বইটি পেয়ে আরাম মিয়া ফেরত দেয়ার বিনিময়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করছে এবং ওই চেক দিয়ে জহুরুল ইসলামকে নানাভাবে হয়রানি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মঙ্গলবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রতিকারের দাবি জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জহুরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, পলাশবাড়ি উপজেলার তালুকজামিরা গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জহুরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল পলাশবাড়ি থানায় সোনালী ব্যাংক, পুরাতন বাজার শাখার চেক বই হারানোর একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি নং ৮৬৫। পলাশবাড়ি থানার তৎকালীন কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার এসআই মোঃ বাবুল ইসলাম জিডিটি গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে পলাশবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশে হরিণাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মোঃ নজরুল ইসলাম জিডিটি তদন্তপূর্বক ওই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে চেক হারানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ার নাছিম উদ্দিনের ছেলে আরাম মিয়া উক্ত চেক বই পেয়েছে এবং ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ফেরত দেবে বলে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ওই আরাম মিয়া তথ্য অধিকার বিধিমালার বিধি ৩ মোতাবেক পলাশবাড়ি থানায় ৮৬৫ নং জিডি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল আলম তার থানার ভলিউম বইতে রদবদল করে জহুরুল ইসলামের জিডির স্থলে এসআই আব্দুর রাজ্জাকের নাম দেখানো হয়েছে এবং জিডির বিষয় দেখানো হয়েছে গুলি (কার্তুজ) ইস্যু সংক্রান্ত। জিডি গ্রহণকারী এসআই মোঃ বাবুল ইসলাম বর্তমানে সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত রয়েছেন। এমতাবস্থায় মামলার প্রেক্ষিতে একটি কুচক্রী মহল আইনগতভাবে জহুরুল ইসলামকে ফাঁসানোর জন্য তার দায়েরকৃত সাধারণ ডায়েরিটি গায়েব করেছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর এহেন অসদাচরণ তাকে সামগ্রিকভাবে ক্ষতি করার উদ্দেশে করা হয়েছে বলে জহুরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
×