নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৫ জুন ॥ বাউফলে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) আওতায় চলতি অর্থবছরে পানি সেচ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও গবাদিপশুর গোসলের সুবিধার্থে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৪ কিলোমিটার খাল পুনঃখননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশাল ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প (বিডিএমআইডিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। খালগুলো হলোÑ সূর্যমনি ইউনিয়নের মিয়ার খাল, কালাইয়া ইউনিয়নের কপুরকাঠি দফার খাল ও বগা ইউনিয়নের নাজির খাল। এই তিনটি খালের ১.৫ কিলোমিটার করে মোট সাড়ে ৪ কিলোমিটার নামমাত্র খনন কাজ করে বরাদ্দকৃত টাকার সিংহভাগ লোপাট করা হয়েছে। মেসার্স নিয়াজ ট্রেডার্স, মতিঝিল ঢাকা ও ইসলাম ব্রাদার্স, পোর্ট রোড, ঝালকাঠি নামের দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাউফলে একটি লটে তিনটি খালের খনন কাজ করে। গত বছর ৩০ ডিসেম্বর এ লটে এই তিনটি খালের টেন্ডার আহ্বান করা হয় এবং চলতি বছর ১ জানুয়ারি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়।
নিয়মানুযায়ী খালের দুই পাশে বাঁধ দিয়ে পানি সেচ করে ভেকু মেশিন দিয়ে খনন করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা না করে কেবল কোদাল দিয়ে খালের দুই পাশ ড্রেসিং করেছে। খালের তলদেশে ৭ ফুট গভীর করে মাটি খনন করার কথা থাকলেও সেখানে আদৌ কোন খনন কাজ করা হয়নি। কাজে বরাদ্দকৃত টাকা লোপাট করার উদ্দেশ্যেই বর্ষা মৌসুমে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে সুবিধাভোগী লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে খাল খনন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন, মূলত ব্যাপক অনিয়মের কারণে তা সফল হচ্ছে না। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের বাউফলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ লিমন হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খাল খননে কোন অনিয়ম হয়নি। বর্ষা মৌসুমে খাল বিলে পানি থাকায় এ অবস্থায় যথাযথ নিয়মে খনন কাজ কিভাবে সম্ভব হলো? এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: