ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগ নেতা হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড, দুজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ৫ জুন ২০১৮

কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগ নেতা হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড, দুজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ৪ জুন ॥ ছাত্রলীগ নেতা শাহরুখ খান ওরফে পিয়াস হত্যা মামলার রায়ে এক আসামির মৃত্যুদ- এবং অপর দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ-সহ অর্থদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মোল্লাতেঘরিয়া গ্রামে মৃত কাশেম আলীর ছেলে আসামি টুটুল হোসেনকে (৩৮) মৃত্যুদ- এবং লাহিনী ক্যানাল পাড়া এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩৪) ও জুগিয়া কদমতলা এলাকার মুনতাজ প্রামাণিকের ছেলে মোশারফ হোসেনকে (৩৩) যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করা হয়। এছাড়া টুটুলকে ২০ হাজার এবং অপর দুই আসামির প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ২০১৫ সালের ১০ জুলাই বিকেলে কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকার নিজ বাড়ির সামনে ছাত্রলীগ নেতা শাহরুখ খান পিয়াসকে গুলি করে হত্যা করে টুটুলসহ সহযোগীরা। ঘটনার দিন রাতে পিয়াসের বাবা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কুড়িগ্রাম স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম থেকে জানান, নাগেশ^রীতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী মুকুল মিয়াকে কুড়িগ্রাম দায়রা জজ আদালত যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও বিশ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে ৬ মাসের জেল প্রদান করে। সোমবার দুপুরে জেলা জজ আদালতের বিচারক আখতার-উল-আলম এই রায় দেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে নাগেশ^রীর মেছনীর পাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের প্রথম কন্যা তানিয়া আক্তার তানি (২২) এর সঙ্গে পাশর্^বর্তী নীলুরখামার চুরুয়াটারী গ্রামের সোহরাওয়ার্দি মিয়ার দ্বিতীয় পুত্র মুকুল মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। বিয়ের ৮ মাসের মধ্যে ২০১৪ সালের ২০ জুন ভোর ৬টার দিকে তানিয়া আক্তারের গলাকাটা লাশ মুকুল মিয়ার ঘরে পাওয়া যায়। এ নিয়ে মুকুল মিয়া, তার পিতা ও দুই ভাইসহ ৫ জনকে আসামি করে ২০ জুন ২০১৪ সালে মামলা দায়ের করা হয়।
×