ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভিড় এখন কৃত্রিম ফুল আর শো-পিসের দোকানে

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ৫ জুন ২০১৮

ভিড় এখন কৃত্রিম ফুল আর শো-পিসের দোকানে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঈদে ঘর সাজাতে ক্রেতাদের ভিড় এখন কৃত্রিম ফুল আর শো-পিসের দোকানগুলোতে। দাম আর মানের সঙ্গে মিল রেখে কেউ কেউ কিনছেন বেডশিট আর ঘরের পর্দাও। তবে এখনো বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট নন বিক্রেতারা। ২০ রোজার পর থেকে বিক্রি বাড়ার প্রত্যাশা তাদের। মানুষের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে দর্পণে আর ঘরের সৌন্দর্য সাজের নিপুণতায়। সামনেই ঈদ, তাই ঘর সাজাতেও শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। ইট-পাথরের ছোট এই ভুবনটিকে নান্দনিকতার ছোঁয়া আনতে চাই একটু ভিন্ন কিছু। তাই রুচিশীল মানুষের পছন্দের তালিকায় রয়েছে কৃত্রিম ফুল, উইন্ড চাইমসহ চোখ ধাঁধানো ঝারবাতি। ক্রেতারা জানান, ‘ঘরের সাজানো জিনিস ও গিফট কেনার এখানে এসেছি। ঈদ যেহেতু সামনে সেই জন্যে ঘরকে সাজানোর জন্য কেনা-কাটা করছি।’ ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার বিক্রেতারা। রমজানের শেষ সপ্তাহে বিক্রিও ততটাই বাড়বে বলে প্রত্যাশা তাদের। বিক্রেতারা জানান, বাংলাদেশি পুণ্যে দাম বেশি হওয়ায় কেউ ক্রয় করতে চায় না। অন্যদিকে চীনের পুণ্য সুন্দর ও দাম কম হওয়ায় তাদের পুণ্য বেশি বিক্রি হয়। তবে আমাদের মালামালগুলো চীন ও দুবাই ও মালয়েশিয়া থেকে আসে। ঘর সাজাতে বেডশিট, কভার আর পর্দাতেও চাই নতুনত্ব। তাইতো রুচিসম্মত পণ্যটি খুঁজতে ক্রেতাদের ছোটাছুটি এক দোকান থেকে অন্য দোকানে। তবে এরপরও হতাশ বিক্রেতারা। ক্রেতারা জানান, ঈদের সময় সবাই সাজতে চায়, সাজাতে চায়। সেই জন্যে ঘরের জন্য সোপার কভার, বেডশিট ও পর্দা কিনতে এখানে এসেছি। অন্যদিকে বিক্রেতা জানান, আমাদের এখানে চাদর ৬০০ থেকে শুরু হয়ে ২০০০-২২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। বিদেশ নির্ভরতা নয় বরং, ঘর সাজানোর দেশীয় সামগ্রী আরও নিখুঁত আর সাশ্রয়ী করতে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান ক্রেতাদের।
×