ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জম্মু ও কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ॥ গুলি বিনিময়

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ৪ জুন ২০১৮

  জম্মু ও কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ॥ গুলি বিনিময়

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানী রেঞ্জার্স রবিবার ইন্টারন্যাশনাল বর্ডার (আইবি) বরাবর ভারতীয় বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। এতে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরে দুজন বিএসএফ জওয়ান নিহত হয়েছেন। খবর ফার্স্টপোস্ট ও ইন্ডিয়া টিভি নিউজ অনলাইনের। সীমান্ত বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেন, আইবি এলাকার আখনুর সেক্টরের প্রাগওয়াল এলাকায় পাক বাহিনী শনিবার দিনগত রাত একটা ১৫মিনিটে গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিতে সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর একজন কর্মকর্তাসহ দু’জন বিএসএফ সদস্য নিহত হন। পরে সহকারী সাব-ইন্সপেক্টরসহ আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। কোন রকম উসকানি ছাড়া চালানো এই গুলিতে আরও অন্তত ১৩ বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সীমান্ত অতিক্রম করে গুলি চালিয়ে পাক বাহিনী যুদ্ধবিরতি চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। যার কঠোর জবাব দিয়েছে বিএসএফ। সীমান্তে এখনও গোলাগুলি চলছে। অপর এক উর্ধতন কর্মকর্তা হতাহতের খবর নিশ্চিত করে পিটিআইকে জানিয়েছেন, পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের আইবি বরাবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে। ২০০৩ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে দুদেশই সম্মত হয়েছিল। এক সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় বাহিনীর প্রতিশোধমূলক হামলায় পাক সীমান্তে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাদের আট থেকে দশটি পাক রেঞ্জার বাঙ্কার বোমার আঘাতে ধ্বংস হয়েছে। অন্যদিকে এ্যাম্বুলেন্সের সারি দেখা গেছে। পাকিস্তানী বাহিনী সীমান্তে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি করে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি সীমান্তের ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে রক্তপাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। রবিবার গণমাধ্যমকে মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা জানান, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে দুদেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন্স (ডিজিএমও) আলোচনা করার পরও এটি ঘটেছে। সীমান্তের উভয় দিকের মানুষ মারা যাচ্ছে। এই রক্তপাত শেষ করতে ডিজিএমওদের আবার কথা বলা উচিত। দুই সেনাবাহিনীর ডিজিএমওর মধ্যে পাকিস্তান প্রবর্তিত হটলাইন কথোপকথন শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক দিন পর গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটল। সংলাপের সময় ভারত ও পাকিস্তানের ডিজিএমও ২০০৩ সালে সমঝোতার ভিত্তিতে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নে একমত হন। গত মঙ্গলবার পাকিস্তানী ও ভারতীয় আর্মি এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, উভয় ডিজিএমও ২০০৩ সালের সিসফায়ার আন্ডারস্ট্যান্ডিং পুরোপুরি বাস্তবায়নে একমত হয়েছেন। আলোচনায় উভয় ডিজিএমও কোন সমস্যা হলে, সংযমের সঙ্গে ও স্থানীয় কমান্ডার স্তরে হটলাইনের মাধ্যমে এবং সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে সম্মতি দেন।
×