ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

২৪ বার সময় নিয়েও আদালতে জমা হলো না রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ৪ জুন ২০১৮

২৪ বার সময় নিয়েও আদালতে জমা হলো না রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন ২৪ বার সময় নিয়েও আদালতে জমা দিতে পারেনি তদন্ত সংস্থা সিআইডি। রবিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলাটির তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কে এম মাঈন উদ্দিন সিদ্দিকী নতুন দিন ঠিক করেন। এ নিয়ে মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের সময় ২৪ বার পেছানো হলো। ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরের কোন একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের এ্যাকাউন্টস এ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অর্থ চুরির ঘটনা ঘটলেও সে সময় প্রায় এক মাস তা গোপন রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক। শেষ পর্যন্ত এর দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হয় তৎকালীন গবর্নর ড. আতিউর রহমানকে। অর্থ চুরি নিয়ে সে সময় সরকারীভাবে একটি তদন্তও হয়। তবে সেই তদন্ত প্রতিবেদনটি পরে আর আলোর মুখ দেখেনি। রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরি সরকারের উদ্যোগে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন। তার তদন্তে ঘটনায় জড়িত হিসেবে সন্দেহভাজন হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকেরই কয়েকজনের নাম উঠে আসে। চুরি যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের মধ্যে এ পর্যন্ত ফেরত আনা গেছে দেড় কোটি ডলার। বাকি সাড়ে ৬ কোটি ডলার ফেরত আনা নিয়ে জটিলতা রয়েছে।
×