ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রমিক মৃত্যুর গুজবে টঙ্গীতে বিক্ষোভ ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ৩ জুন ২০১৮

শ্রমিক মৃত্যুর গুজবে টঙ্গীতে বিক্ষোভ ভাংচুর

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী, ২ জুন ॥ শনিবার দুপুরে টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় হা-মীম গ্রুপের কারখানায় একটি প্যান্ট চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিকিউরিটি গার্ডদের মারধরে আহত শ্রমিক তৈয়ব আলীর মৃত্যুর গুজবে বিক্ষুব্ধ সহকর্মীরা কারখানায় কর্মবিরতি, বিক্ষোভ ও গাড়ি ভাংচুর করেছে। টঙ্গী থানা পুলিশ ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। টঙ্গী থানার ওসি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর মিলগেট শহীদ সুন্দর আলী রোড এলাকায় হা-মীম গ্রুপের নিটিং ওয়াশিং প্ল্যান্টের শ্রমিক তৈয়ব আলীকে কারখানার একটি প্যান্ট চুরির ঘটনায় নিরাপত্তাকর্মীরা মারধর করেন। মারধরে তৈয়ব আলী আহত হয়ে পড়লে তাকে টঙ্গী হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতে সহকর্মীরা খবর পান তৈয়ব মারা গেছেন। সহকর্মীর মারা যাওয়ার গুজবে শনিবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে শত শত শ্রমিক কারখানার কাঁচ ভাংচুর, মালপত্র তছনছ এবং কারখানা চত্বরে থাকা কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছোড়ে। শ্রমিক বিক্ষোভের খবর পেয়ে শনিবার সকাল ১০টার দিকে কারখানার মালিক (এমডি) একে চৌধুরী ঘটনাস্থলে যান। পরে কারখানা কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা সদস্য ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় করে আহত শ্রমিককে কারখনায় হাজির করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডাইরেক্টর মোঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। দুপুরে মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে এক আলোচনায় শনিবারের জন্য কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। শেরপুরে অপহৃত ভারতীয় নাগরিক উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ২ জুন ॥ শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ফালগুন আরেং (৬৭) নামে অপহৃত এক ভারতীয় নাগরিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে উপজেলার বালিজুরি খ্রীস্টানপাড়া গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ফালগুন আরেং ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার পোড়াকাশিয়া থানার হাতিমারাক গ্রামের মৃত চিং রে সাংমার ছেলে। ওই ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, গত ২৩ মে রাতে ৭/৮ দুর্বৃত্ত মুখে কালো কাপড় বেঁধে ফালগুন আরেংয়ের নিজ বাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করে। পরে সীমান্ত এলাকার গারো পাহাড়ের এক বাড়িতে তাকে আটক রেখে পরিবারের কাছে থেকে মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল অপহরণকারীরা।
×