ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ায় ফিটিং হাউসগুলোর ব্যস্ততা বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ৩ জুন ২০১৮

বগুড়ায় ফিটিং হাউসগুলোর ব্যস্ততা বেড়েছে

সমুদ্র হক, বগুড়া অফিস ॥ ফিটিং হাউসগুলো এখন খুবই ব্যস্ত। একদ- ফুরসত নেই। মধ্যরাত অবধি স্যুইয়িং মেশিনের খচাং খচাং শব্দ। কান ঝালাপালা হলেও উপায় নেই। ঈদের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। হাতে সময় কম। তার আগেই ফিটিং করে দিতে হবে। রেডিমেড গার্মেন্টের (তৈরি পোশাক) প্রসারে দর্জিবাড়ী বা টেইলারিং হাউসগুলোর কাজ কিছুটা কমেছে। কাজ বেড়েছে ফিটিং হাউসগুলোর। নিকট অতীতের খলিফার বাড়ি (অপভ্রমাংশে খলফ্যার বাড়ি) আজকের দর্জিবাড়ী বা টেইলারিং হাউস। দোকান থেকে কাপড় কিনে ছেলেমেয়েরা পছন্দের ডিজাইনে পোশাক বানাত। টেইলারিং হাউসের কদর এতটাই ছিল যে ঈদের দুই সপ্তাহ আগে অর্ডার নিত না। এখন দিন পাল্টেছে। ঈদের উৎসবে কাপড় কিনে পোশাক বানাবার দিন ফুরিয়েছে। এখনই সবই রেডিমেড। যুগের পরিক্রমায় তরুণ তরুণীদের পছন্দ বাহারি পোশাক। বড়রাও এখন আর কাপড় কিনে পোশাক বানাতে চায় না। দর্জিবাড়ী থেকে শার্ট প্যান্ট, পাঞ্জাবি বানিয়ে নেয়ার চেয়ে রেডিমেডই এখন বেশি পছন্দ। এতে খরচও কম। ঢিলেঢালা হলে ওই ফিটিং হাউস তো আছেই। মেয়েদের পোশাকের বেলাতেও তাই। সেই পোশাক ভারতীয় নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোনের পদ্মাবতী হোক আর দেশী প্রতিষ্ঠানের লং কোটি, তাগা হোক। বাহারি সালোয়ার কামিজ, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা যাই হোক ফিটিং হাউসগুলোর ফিটিং করা পোশাক দেখে মনে হবে মাপ মতো বানানো। বগুড়া নগরীর নবাববাড়ী সড়কের ধারে আধুনিক মার্কেট, নিউমার্কেট, শো-রুমগুলোর আশপাশে, হকার্স মার্কেটের সঙ্গে ফিটিং হাউস বসেছে। আধুনিক ফিটিং হাউসগুলোতে রয়েছে বিদ্যুতে ও মোটরে চালিত অটো স্যুইয়িং মেশিন। জাপান ও চীনের তৈরি এই মেশিনগুলোর সেলাই এতটাই নিখুঁত যে বোঝা যাবে না পোশাকটি আগে কেমন ছিল। ফিটিং হাউসেও ফিটিং মাস্টার আছেন। যিনি শরীরের গঠন অনুযায়ী পোশাকে কেটে সেট করে দেবেন। আল আমিন মার্কেটের রাজু ফিটিং হাউসের মালিক রাজু আহমেদ বললেন, অটো মেশিনগুলোতে ওভার লক, ফ্যাট লক, সিঙ্গেল লক আছে। যা দিয়ে সিঙ্গেল ও ডাবল নিখুঁত সেলাই হয়। তিনি জানালেন ফিটিংয়ে খাটুনি বেশি। মূল পোশাকের যেন কোন ধরনের ক্ষতি এবং খুঁত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হয়।
×