নিজস্ব কার্যালয়ে ইআরএফ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পর জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে নিজস্ব কার্যালয়ে উঠেছে অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইআরএফ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) নিজস্ব কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব শামসুল আলম, ইন্স্যুরেন্সে ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টা এস কে সুর, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এ্যাসোসিয়েশন ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সভাপতি সৈয়দ মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ফরাস উদ্দিন আহমেদ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিআইয়ের সহসভাপতি মুনতাকিম আশরাফসহ ইআরএফের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, দশ বছর বয়সে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে আমার পরিচয়। তখন থেকেই এ পেশার চ্যালেঞ্জ দেখেছি। ১৯৮২ সালে প্রথম মন্ত্রী হওয়ার পর অর্থনীতির বিষয় মানুষের মধ্যে আগ্রহ দেখিনি। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হওয়ার পর অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচয় হয়। বর্তমানে বাজেট প্রণয়নেও সাংবাদিকরা প্রাক বাজেটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ফজলে কবির বলেন, অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকরা আর্থিক খাতের কঠিন বিষয়গুলো মানুষের কাছে সহজভাবে উপস্থাপন করছে। সরকারের নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে এ সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখছে। ২০২৪ সালে রফতানিমুখী অর্থনীতির ভিত্তি তৈরি হবে। সাংবাদিকরা এ সময়ের আগেই তাদের দক্ষতা আরও বাড়িয়ে এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। প্রতিষ্ঠার পর বর্তমান অবস্থানে আসতে ইআরএফকে ২৫ বছর অপেক্ষা করতে হলেও আগামী আড়াই বছরে দ্বিগুণ সাফল্য অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে ১৯৯৪ সালে যাত্রা শুরু করে ইআরএফ। সংগঠনটি গত দুই যুগ ধরে সদস্যদের দক্ষতা বাড়াতে রিপোর্টারদের প্রশিক্ষণ ও সেরা রিপোর্টিং এ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে। এ ছাড়াও জাতীয় বাজেট প্রণয়ন, মুদ্রানীতি ঘোষণাসহ দেশের অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণী বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে থাকে সংগঠনটি।