ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিমানে রক্ষণাবেক্ষণ খাতে দুর্নীতি সবচেয়ে বেশি

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ৩ জুন ২০১৮

বিমানে রক্ষণাবেক্ষণ খাতে দুর্নীতি সবচেয়ে বেশি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিমানে রক্ষণাবেক্ষণ খাতে দুর্নীতি হয় সবচেয়ে বেশি। উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ কিনতে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিতে গিয়েও হয় আর্থিক অনিয়ম। এ ছাড়া ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারে প্রতি মাসে গচ্চা যাচ্ছে কোটি টাকা। এসব অনিয়ম বন্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে ৯ দফা সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। তবে বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, সুনিদিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেশের পতাকাবাহী আকাশে একমাত্র বাহন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, কিন্তু কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে খোয়াতে হচ্ছে সুনাম। গেল ৮ এপ্রিল বিমানের দুর্নীতি বন্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে ৯ দফা সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। যাতে বলা হয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণ খাতে দুর্নীতি হয় সবচেয়ে বেশি। উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ কিনতে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিতে গিয়েও আর্থিক অনিয়ম হয়। বিমানের যাবতীয় কেনাকেটা হয়ে থাকে মার্কেটিং সেলস ও প্রকিউরমেন্ট শাখায়। এসব কেনাকাটায় অতিরিক্ত বিল-ভাউচার করে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারে নিম্নমানের খাবার সরবরাহের জন্য প্রতিমাসে গচ্চা যাচ্ছে কোটি টাকা। এ নিয়ে বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, দুদক কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে, ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবশ্য দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, শুধু অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সুপারিশই শেষ কথা নয়, তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘জবাবদিহিতা না থাকায় বিমানের দুর্নীতি কমানো যাচ্ছে না। কঠোর বিচারের দৃষ্টান্ত থাকলে, এসব অনিয়ম কমানো যেত।’ শুধু দুদকই নয়, সম্প্রতি বিমানের সেবার মানসহ নানা বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন খোদ বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী। সম্প্রতি বিমান খাতে দুর্নীতির উৎস ও তা বন্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে কয়েক দফা সুপারিশ জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। যাতে বলা হয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণ খাতে দুর্নীতি হয় সবচেয়ে বেশি।
×