ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ ॥ ড. শিরীন শারমিন

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৩ জুন ২০১৮

রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ ॥ ড. শিরীন শারমিন

সংসদ রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন নিয়ে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। সীমান্ত খুলে দিয়ে মানবতার এ নব দিগন্তের উšে§াচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্যারিসে ফ্রান্সের ন্যাশনাল এসেম্বলিতে অনুষ্ঠিত ফ্রান্স-বাংলাদেশ মৈত্রী গ্রুপ আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃৃতাকালে স্পীকার এসব কথা বলেন। ফ্রান্স-গাম্বিয়া মৈত্রী গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জাঁ ফ্রাংকোইস এমবায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তৃতা করেন ফ্রান্স-বাংলাদেশ মৈত্রী গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল অবনো, মানবাধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক ড. মং জারনি, মানবাধিকার কর্মী রাজিয়া সুলতানা, তুন খিন, রোহিঙ্গাবিষয়ক আইনবিদ নুরুল ইসলাম, ন্যা সাঁ লুই, প্রফেসর সি আবরার, প্রফেসর ইউসুফ বালসি প্রমুখ। সম্মেলনে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক, আইনবিদ, সমালোচক ও সংসদ সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময়ে রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় প্রদান করায় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন আলোচকরা। তাঁরা রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকায় দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সংসদ সচিবালয় থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। ড. শিরীন শারমিন বলেন, আইপিইউ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন এবং তাদের মানবাধিকার সংরক্ষণে রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সিপিএ সম্মেলনেও রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা গৃহীত হয়। তিনি বলেন, ফ্রান্স-বাংলাদেশ মৈত্রী গ্রুপ এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করায় বিশ্বের অন্যান্য পার্লামেন্টেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুটি গুরুত্ব পাবে। এ জন্য তিনি ফ্রান্স-বাংলাদেশ মৈত্রী গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান। স্পীকার বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রতি সম্মান রেখে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে এ বিষয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সজাগ দৃষ্টি ও অকুণ্ঠ সমর্থন কামনা করেন।
×