ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নান্দাইলে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ ॥ নিহত এক আহত ৬

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ২ জুন ২০১৮

 নান্দাইলে তুচ্ছ ঘটনায়  সংঘর্ষ ॥ নিহত এক আহত ৬

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ, ১ জুন ॥ উপজেলায় গাংগাইল ইউনিয়নে জমিতে মুরগি মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংর্ঘষে আবুল হাসেম (৬০) নামে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৬ জন। শুক্রবার সকালে উত্তর বানাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, উপজেলার উত্তর বানাইল গ্রামের আবুবক্কর সিদ্দিক ও আবুল হাসেম পাশাপাশি বসবাস করেন। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই বিরোধ দেখা দিত। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার উভয় পক্ষের ঝগড়ায় আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে আবুবক্কর সিদ্দিকের শসা বাগানে আবুল হাসেমের মুরগি প্রবেশ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিদ্দিকের পুত্র জাহাঙ্গির একটি মুরগি মেরে ফেলে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে দু‘পক্ষের মহিলাসহ ৭ জন গুরুতর আহত হয়। পরে এলাকাবাসী আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে পাঠায়। হাসপাতালে নেয়ার পথে আবুল হাসেম মারা যান। মাগুরা নিজস্ব সংবাদদাতা মাগুরা থেকে জানান, মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ঘুল্লিয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থক দু দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে গুরুতর অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় ১০ বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। জানা যায়, মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউপির ঘুল্লিøয়া গ্রামে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিনোদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজান শিকদার এবং আওয়ামী লীগ কর্মী শফিকুল ইসলাম পিকুলের সমর্থকদের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । উভয়পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাত ১১টার দিকে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১০টি বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মহম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষই পরস্পরকে দায়ী করেছে। নরসিংদী স্টাফ রিপোর্টার নরসিংদী থেকে জানান, এলাকার প্রভাব বিস্তার নিয়ে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে ৩ বাড়ি। সদর উপজেলার দুর্গম চর এলাকা নজরপুর ইউনিয়নের আলিপুরা গ্রামে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আজমল মিয়া ও তার সমর্থক কাজী করিমের সঙ্গে একই গ্রামের বর্তমান ইউপি মেম্বার কামাল মিয়ার এলাকার প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের হিসেবে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। শুক্রবার সকালে কাজী করিম ও সাবেক ইউপি মেম্বার আজমল মিয়ার সমর্থকরা দা, লাঠি, টেঁটা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বর্তমান ইউপি মেম্বার কামাল মিয়া ও তার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ছাত্তার মিয়া, লিটন মিয়া ও রহমান মিয়ার ঘরে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং মফিজ মিয়ার একটি গরু লুটে নেয়। এ সময় উভয় পক্ষের ২০ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। আহতদের মধ্যে কামাল মেম্বার সমর্থক রফিক মিয়া (৭০), লতিফ মিয়া (৬০), জাকির হোসেন (২৮), মফিজ মিয়া (৫০), মনসুর আলী (২৮), এমরান (২৫), সালাউদ্দিন (২৫), জাহিদ (২৭) এবং কাজী করিম ও সাবেক ইউপি মেম্বার আজমল মিয়ার সমর্থক কাজী ফুল মিয়া (৩৫), কাজী অহিদুল্লাহ (১৮), আব্দুল খালেক (৪৫) কে নরসিংদী সদর হাসপাতালে এবং অন্যদেরকে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
×