স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ সামাজিক বিরোধকে কেন্দ্র করে তিনতলা বাড়ি তেলের ড্রামের টিন দিয়ে ও বাঁশ ফেলে ২০ দিন ধরে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। আর এ ঘটনা ঘটেছে লৌহজং উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের পূর্ব নাগেরহাট গ্রামে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১ মে অনুসন্ধান লুঙ্গি কোম্পানির মালিক ইসমাইল হোসেন বেপারির বর্তমান বাড়ি থেকে অদূরে তার পুরনো বাড়ি মাপজোক হয়। তার একপর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দা এমদাদ দেওয়ানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ইসমাইল বেপারির একটি কথায় অন্যপক্ষ আপত্তি জানান এবং তাকে এমদাদ দেওয়ানের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন। এরপর ওইদিন ইসমাইল বেপারি ঢাকায় চলে আসেন। কিন্তু পরদিন ২ মে পুনরায় বিচার করা হবে জানালে তিনি আপত্তি জানান এবং বলেন, পুনরায় বিচার (স্থানীয় ভাষায় ছানি বিচার) করা হলে আমার নয়, বিচার হবে সালিশদের। পুনরায় বিচার হলে গণ্যমান্য লোক ছাড়া বিচার হবে না। এরপর তিনি গত ৬ মে ওমরাহ হজ করতে মক্কায় গিয়ে ফেরেন ১৭ মে। এর মধ্যে স্থানীয় মাহবুব সরকার ও আজাদ দেওয়ানের নেতৃত্বে ইসমাইল বেপারির বাড়ি থেকে মূল রাস্তায় বের হতে তার বাড়ির মেইন গেট ঘিরে উত্তর পাশে তেলের ড্রামকাটা টিনের বেড়া দেয়া হয় ও পশ্চিম পাশে বাঁশ ফেলে রাখা হয় যাতে কেউ এ বাড়িতে ঢুকতে এবং বের হতে না পারেন। এ ঘটনায় আজাদ দেওয়ানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ইসমাইল বেপারির সঙ্গে জায়গা ও সামাজিক বিষয় নিয়ে এলাকার অনেকের বিরোধ রয়েছে। তাছাড়া পুনরায় বিচারের বিষয়ে উনি কয়েকবার তারিখ দিয়েও আসেননি। তাই আমরা গ্রামবাসী উনাকে বিচারে বসানোর জন্য বাড়ি বেড়া দিয়ে ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু মাহবুব সরকার বলেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, এমদাদ দেওয়ানের কাছে ইসমাইল বেপারির ক্ষমা চাওয়া সন্তোষজনক হয়নি, তাই এলাকাবাসী একজোট হয়ে বেড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এ ঘটনায় কনকসার ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, যাই ঘটে থাকুক- কেউ এভাবে কারও বাড়ি বেড়া দিয়ে আটকে জিম্মি রাখতে পারেন না। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) ও প্রশাসনকে জানানো উচিত ছিল। ঘটনার পূর্বাপর অবগত স্থানীয় ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান জানান, যত বিরোধই থাকুক এভাবে বাড়ি বেড়া দিয়ে আটকে রাখা দুঃখজনক ও অমানবিক।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: