ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রস্তুতি ম্যাচে অনিশ্চিত নেইমার

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ২ জুন ২০১৮

প্রস্তুতি ম্যাচে অনিশ্চিত নেইমার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপ যতই ঘনিয়ে আসছে নেইমারকে নিয়ে আলোচনা তত বাড়ছে। ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন কিনা সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। বৃহস্পতিবার দলের সঙ্গে অনুশীলন না করার কারণে শঙ্কাটা আরও বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে রবিবার ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারবেন না সেলেসাও তারকা। গত ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠের বাইরে থাকা নেইমার ক’দিন আগে নিজেই জানিয়েছিলেন, এখনও শতভাগ ফিট নন তিনি। জাতীয় দলের সঙ্গে এক সপ্তাহ অনুশীলন করার পর তার এই কথায় ভক্তদের মনে দুশ্চিন্তা বাসা বাঁধে। তবে একই সঙ্গে বিশ্বকাপ শুরুর আগে পুরো ফিট হয়ে উঠার আশাবাদও জানান পিএসজি তারকা। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ফিলিপ কুটিনহো ও গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে আক্রমণভাগের সামনে রেখে পরশু দলের অনুশীলন করান কোচ টিটে। আর মার্কিনিয়োসে জায়গায় ছিলেন থিয়াগো সিলভা। এর আগে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন জানায়, ডান হাঁটুতে চোট পেয়েছেন রেনাটো অগাস্টো। ফলে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে রবিবারের ম্যাচটি তার খেলা নিশ্চিত নয় বলে জানায় সংস্থাটি। ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে গত সোমবার থেকে অনুশীলন করছে ব্রাজিল দল। আগামী ৮ জুন পর্যন্ত এখানেই অনুশীলন চালিয়ে যাবে তারা। ১৭ জুন রোস্টভে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ শুরু হবে ব্রাজিলের। ‘ই’ গ্রুপে তাদের অপর দুই প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা ও সার্বিয়া। অবশ্য বিরতির সময়ে নিজেকে আরও আত্মবিশ্বাসী করেছেন নেইমার। আত্মবিশ্বাসী এই তারকা বিশ্বকাপ জিততে কতটা মুখিয়ে আছেন সেটা তার কথাতেই স্পষ্ট। এক সাক্ষাতকারে নেইমার জানিয়েছেন, মাঠে ফুটবল খেলাটাই আমাকে উৎসাহ জোগায়। আমার আনন্দের উৎস ফুটবলই। বিশ্বকাপ বিশ্বের সেরা টুর্নামেন্ট। আমি শুধু এ আসরে খেলে যেতে চাই এবং চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। কাপটা আমারই হওয়া চাই। ২০১৪ সালে নিজ দেশে সেমিফাইনালে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। তবে এবার ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে অধরা স্বপ্ন পূরণ করতে চান ২৬ বছর বয়সী এই সুপারস্টার। এবারের বাছাইপর্বে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স প্রদর্শন করে ব্রাজিল। রেকর্ড সর্বোচ্চ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা সবার আগে বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করে। কোচ টিটে দলকে গড়ে তুলেছেন দুর্দান্তভাবে। একই পজিশনে একাধিক চৌকস খেলোয়াড় থাকায় আসছে বিশ্বকাপে হট ফেবারিট পেলের দেশ। তাইতো স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন নেইমারও। সাফল্যের পরিসংখ্যানে এমন অবস্থা ব্রাজিল মানেই সেরা হওয়া। ‘দ্বিতীয়’ হওয়াটাকেও দেশটি ব্যর্থতা হিসেবে মনে করে। ১৯৭০ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর দীর্ঘ দুইযুগ পর ১৯৯৪ সালে আবারও বিশ্বকাপ জেতে জাগো বনিতোরা। আধুনিক যুগে এসে এ সময় থেকেই মূলত দেশটি অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। ১৯৯৪ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত টানা তিন বিশ্বকাপে ১২ বছর বিস্ময়কর সাফল্য দেখায় ব্রাজিলিয়ানরা। এ সময়ের তিনটি বিশ্বকাপের প্রতিটিতেই ফাইনালে খেলে ব্রাজিল এবং দু’টিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। এমন আকাশচুম্বী সাফল্যের পর ব্রাজিল দল যেন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। তবে পরের তিন বিশ্বকাপে (২০০৬, ২০১০, ২০১৪) সাফল্য পায়নি সাম্বা ছন্দের দেশটি। আর তাই টানা তিন বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়া ব্রাজিলের এখন পাখির চোখ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে।
×