ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তালতলীতে মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদী

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১ জুন ২০১৮

তালতলীতে মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদী

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ৩১ মে ॥ তালতলী উপজেলার পাজরাভাংগা গ্রামের আলী আজিম ফরাজী জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করে প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলা তুলে নিতে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছেন তারা। প্রভাবশালী জালিয়াত চক্রের অব্যাহত হুমকিতে তিনি বাড়িঘরে যেতে পারছে না। বৃহস্পতিবার আমতলী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী আলী আজিম ফরাজী। জানা গেছে, তালতলী উপজেলার ছোট নিশানবাড়িয়া মৌজার খোট্টার চরের ১ নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত জমির নতুন দাগ সৃষ্টি করে ৩২-আম/২০০৫-২০০৬ মিস কেসের মাধ্যমে চর্চাম্যাপ তৈরি করে উপজেলা ভূমি অফিস। ওই ম্যাপ বরগুনা জেলা প্রশাসক অনুমোদন দেয়। এ খাস খতিয়ানের জমি জালিয়াত চক্র মোঃ জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, সেলিম হাওলাদার, মোঃ সোহরাব জোমাদ্দার, আবুল কালাম ও তৈয়ব আলী মিলে বিভিন্ন নামে ১৯৫৯-৬০ সালে বন্দোবস্তের ভুয়া কাগজ তৈরি করেন। পরে ওই বন্দোবস্ত জমির কাগজ দিয়ে তালতলী ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর সহযোগিতায় জালিয়াত করে জমির ভুয়া রেকর্ড তৈরি করে। ওই রেকর্ড অনুসারে জালিয়াত চক্র আইসোটেক ইলেকট্রিফিকেশন কোম্পানির কাছে ৮০ একর জমি প্রায় ৪ কোটি টাকায় বিক্রি করে। আলী আজিম ফরাজী অভিযোগ করে বলেন,আমতলী সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ মাসুম বন্দোবস্ত জমির কাগজপত্র যাচাই বাছাই না করে পেশকার মোঃ মিজানুর রহমানের সহযোগিতায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দলিল রেজিস্ট্রি করেছেন। এ জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে আলী আজিম ফরাজী ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বরগুনা জেলা প্রশাসকের দফতরে আবেদন করেন। এ খাস খতিয়ানের জমি রক্ষায় এ বছর ২২ মে হাইকোর্টে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, আমতলী সাব রেজিস্ট্রার, তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, জালিয়াত চক্রের হোতা জাহাঙ্গীর হোসেন জোমাদ্দার, সোহরাফ জোমাদ্দার, আবুল কালাম ও সেলিম হাওলাদারসহ ২৮ জনের নামে হাইকোর্টে রিট পিটিশন (৬৮৬০/১৮) দায়ের করেন।
×