ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভাইস চেয়ারম্যান সমর্থকদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ ॥ আহত ১০

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১ জুন ২০১৮

ভাইস চেয়ারম্যান সমর্থকদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ ॥ আহত ১০

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ৩১ মে ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জোরপূর্বক বালু ভরাট করে কৃষকদের জমি জবরদখলকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সঙ্গে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে এলাকাবাসীর অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ড্রেজারের পাইপ খুলে ফেলে বিক্ষোভ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নের পিতলগঞ্জ এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শী, ভুক্তভোগী জমির মালিক ও এলাকাবাসী জানায়, পিতলগঞ্জ এলাকার বিলে শতাধিক বিঘার উপরে কৃষি জমি রয়েছে। ওই বিলে কয়েক বিঘা জমি ক্রয় করেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ। গত এক সপ্তাহ ধরে জমিতে বালু ভরাট করার লক্ষ্যে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে পাইপ লাইন স্থাপন করে ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজসহ তার নিয়োজিত লোকজন। এরপর তার নিজের ক্রয়কৃত জমির পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের জমি ভরাট করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ জমির মালিকদের। ইতোমধ্যে পিতলগঞ্জ এলাকার আবুল হোসেনের ৪ শতাংশ, আলী হোসেনের ১০ শতাংশ, জাহের আলী বেপারীর ১২ শতাংশ, পান্ডব খলিফার ৬ শতাংশ, আলম মিয়ার ৩ শতাংশ, মতিউর রহমানের ৮ শতাংশ, হাসনারা বেগমের এক বিঘার কিছু অংশ বালু ভরাট করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন তারা। পরে এলাকাবাসী বাধা দিলে রাতের আঁধারে ফের বালু ভরাট করে। এতে করে গত ৩ দিন আগে ড্রেজারের পাইপ খুলে ফেলে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাবিবুর রহমান হারেজ তার লোকজনকে দিয়ে পুনরায় পাইপ স্থাপন করে জোরপূর্বক বালু ভরাট কার্যক্রম শুরু করেন। পরে বিকেলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে বালু ভরাট কাজে বাধা দেন। এ সময় ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজসহ তার ভাতিজা জিয়াউর রহমান, আয়নাল মিয়া, জয়নাল মিয়া, নিয়োজিত দেলোয়ার, শাহজাহান গুন্ডা, সালাউদ্দিন, দানিসসহ ৩০ থেকে ৪০ জনের একদল এসে এলাকাবাসীর ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যানসহ তার সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। এতে মজনু, দিপু, খোকা, আরিফ খান জয়, সাগর, ফয়সাল, সুমন, সুলমান, শামিম, শাহিন আহত হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর শহিদুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ বলেন, আমার কেনা জমিতে আমি বালু ভরাট করছি, অন্য কারো জমিতে নয়। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
×