ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জি কারিগররা

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১ জুন ২০১৮

ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জি কারিগররা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মীরসরাই, চট্টগ্রাম থেকে ॥ মেশিনের অবিরত ঘড়ঘড় শব্দ। কর্মব্যস্ত নারী-পুুরুষ একের পর এক সেলাই করে চলেছেন নতুন পোশাক। ঈদ সামনে রেখে ধনী-গরিব সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তাদের নতুন পোশাকের সন্ধানে। আর তাদের চাহিদা যোগান দিতে গিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দর্জিরা। ফ্যাশন সচেতন নারী-পুরুষ ভিড় জমাচ্ছেন নামীদামী টেইলার্সগুলোতে। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরিতে মেতে উঠেছেন তারা। কাজের চাপে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন দর্জিরা। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার দর্জি দোকানের কারিগররা। সরজমিনে দেখা যায়, জোরারগঞ্জের শুভ টেইলার্স, বৈশাখী টেইলার্স, মীরসরাইয়ের প্রিয়াঙ্কা টেইলার্স, নিতুল টেইলার্স, বারইয়ারহাটের ফেমাস টেইলার্স, সেঞ্চুরি টেইলার্স, সবুজ টেইলার্স, মিঠাছরার আলফা, সানমুন, মজুমদার টেইলার্স, বড়দারোগারহাটের এলিগেন্স টেইলার্সের কারিগররা নর-নারীদের পোশাক তৈরিতে চরম ব্যস্ত সময় পার করছে। আর কয়েকদিন পর অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। তাই ঈদকে সামনে রেখে গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে পছন্দের কাপড় তৈরিতে মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই উপজেলার প্রায় ১ হাজার দর্জি। জোরারগঞ্জের শুভ টেইলার্সের স্বত্বাধীকারী সূর্য্য নাথ জানান, যারা একটু ভিন্ন ডিজাইন আর ফিটিং পোশাক পরতে পছন্দ করেন তারাই মূলত টেইলার্সে আসেন। শবেবরাতের পর থেকে শুরু হয়েছে অর্ডার নেয়ার কাজ। এই কাজ চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত। আর তাই দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। ব্যবসায়ী ডাঃ নুরনবী বাবুল নামের একজন গ্রাহক জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি তৈরি করা শার্ট প্যান্ট পরেন। প্রতিবছর তিন থেকে চার সেট পোশাক বানাতে হয় তার। ব্যতিক্রম হয়নি এবারের ঈদেও। একটি টেইলার্স দোকানে একটি শার্ট ও একটি প্যান্ট ৮০০ টাকা মজুরিতে সেলাই করিয়েছেন তিনি। তবে এবার মজুরি বেশি নিচ্ছেন দোকানিরা।
×