ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হেডিংলিতে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই ইংল্যান্ডের

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১ জুন ২০১৮

হেডিংলিতে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই ইংল্যান্ডের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সফরের শুরুতেই স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে চমক উপহার দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। চারদিনও লাগেনি লর্ডস টেস্টে ইংলিশদের হারিয়ে দিতে। ৯ উইকেটের বড় জয়ে দুই টেস্টের সিরিজে এই মুহূর্তে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে পাকরা। আজ থেকে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হেডিংলিতে। পাকিস্তানের শুধু প্রয়োজন ড্র করা। তাহলেই ১৯৯৬ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে আরেকটি টেস্ট সিরিজ জিতবে পাকরা। এমন পরিস্থিতিতে এই টেস্টে জিততেই হবে ইংল্যান্ডকে। সিরিজ বাঁচানোর জন্য এছাড়া কোন উপায় নেই স্বাগতিক দলের। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় ম্যাচটি শুরু হবে। লর্ডসে হওয়া প্রথম টেস্টে ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছে পাকরা। বিশেষ করে দুই পেসার মোহাম্মদ আব্বাস ও মোহাম্মদ আমির দুর্দান্ত বোলিং করেছেন উভয় ইনিংসে। আর ইংল্যান্ডে ব্যাটসম্যানরা বিন্দুমাত্র সুবিধা করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে হাসান আলীও ভাল বোলিং করেছেন। তাই আবারও স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে নিজেদের বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসা পেস বিভাগ। তবে স্পিন আক্রমণে তেমন সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা তরুণ লেগস্পিনার শাদাব খানকে নিয়ে। ব্যাটিং নিয়েও তেমন কোন চিন্তা নেই তাদের। মোটামুটি সবাই রান করেছেন। এবার হেডিংলি টেস্টে ন্যূনতম ড্র করার জন্য মুখিয়ে থাকবেন আমির। ২০১০ সালে তিনি এই ইংল্যান্ডেই হয়েছিলেন কলঙ্কিত। সেবার ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে গিয়েছিল পাকরা। আর লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিং কা-ে জড়িয়ে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। সেই শাস্তি কাটিয়ে অবশ্য ২০১৬ সালে আবার পাকিস্তানের হয়ে সফর করেছেন এবং সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র দেখেছেন। এবার সিরিজটা জিতলে ক্যারিয়ারের আফসোসটা হয়তো ভুলেই যাবেন আমির। শান্তি পাবেন মানসিকভাবে। এ বিষয়ে আমির বলেন, ‘ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জিততে পারা অনেক বড় অর্জন। আমরা যদি সিরিজটা জিতে যাই তাহলে আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা স্মৃতি হবে এটি।’ তবে এই টেস্টে একটি বড় রকমের ধাক্কা আছে পাক দলে। মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান বাবর আজমের হাত ভেঙ্গে গেছে। লর্ডস টেস্টে বেন স্টোকসের বল খেলতে গিয়ে এই ইনজুরিতে পড়েন। বাবরের পরিবর্তে এই টেস্টে ফখর জামানকে দেখা যাবে পাক একাদশে। ইংল্যান্ডের মাটিতে এখন পর্যন্ত ১৪টি টেস্ট সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে ৩ বার জিতেছে, ৭ বার হেরেছে এবং ৪টি সিরিজ হয়েছে ড্র। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালের সফরে ৩ টেস্টের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতে এসেছিল পাকরা। এবার আরেকবার পরাজয়ের মুখে ইংল্যান্ড। ইউরোপ সফরের শুরুতেই একটি অনুপ্রেরণার জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। আয়ারল্যান্ডের ঐতিহাসিক অভিষেক টেস্টে তাদের মাটিতে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছিল। সেটাই লর্ডসে জেতার ক্ষেত্রে বেশ উপযোগী হয়েছে। কিন্তু ইংল্যান্ড সিরিজ হার ঠেকাতে মরিয়া। ওপেনার মার্ক স্টোনম্যানের ধারাবাহিক ব্যর্থতার জন্য এবার দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে কিটন জেনিংসকে। এ বিষয়ে জেনিংস বলেন, ‘ব্যাটসম্যানদের বিবেচনা করা হয় কি পরিমাণ রান করেছে তার ভিত্তিতে। আমি সেদিকেই মনোযোগী হব।’ এ্যান্ড্রু স্ট্রস অবসর নেয়ার পর থেকেই এ্যালিস্টার কুকের যোগ্য সঙ্গী খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে ইংল্যান্ড। গত ৬ বছরে তার এখন পর্যন্ত টেস্টে ওপেনিং সঙ্গী হয়েছেন ১২ জন। এবার জেনিংসকে নিয়ে তিনি দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেন কিনা তা সময়ই বলে দেবে। আর পাকরা ড্র করলেই ২২ বছর পর আবার ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জিতবে। অধিনায়ক হিসেবে সরফরাজ আহমেদের প্রথম টেস্ট সফর এটি ইংল্যান্ডে। তিনিও এই সুযোগটা কাজে লাগাতে মরিয়া থাকবেন।
×