ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ১৩ দফতর ও সংস্থার চুক্তি

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১ জুন ২০১৮

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ১৩ দফতর ও সংস্থার চুক্তি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কী কী কাজ করতে হবে তা নির্ধারণ করে দিয়ে অধীনস্ত ১৩ দফতর ও সংস্থার সঙ্গে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’ স্বাক্ষর করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য সচিব আবদুল মালেকের সঙ্গে ১৩টি সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা চুক্তিতে সই করেন। এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষরের আগে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে লক্ষ্য অর্জনের পথে কোথাও অদক্ষতা, ঘাটতি বা গাফিলতি আছে কী না তা সহজেই ধরা যায়। জাতীয় বাজেটে যেসব লক্ষ্য নির্ধারিত হয় তা কীভাবে অর্জন করা যায় সে বিষয়ে বার্ষিক কর্মসংস্থান চুক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কারণ প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে লক্ষ্য অর্জন করার জন্য কর্মকৌশল করে সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হচ্ছে। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে স্ব স্ব বিভাগগুলো কী কী কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করেছেন তা বাস্তবায়নের সময় কাঠামো অন্তর্ভুক্ত থাকবে, লক্ষ্য অর্জনে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারবে। তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জনের পথে কোথায় অদক্ষতা, ঘাটতি, গাফিলতি রয়েছে সেটাও আমরা ধরতে পারব। স্ব স্ব অধিদফতরের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এটা প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে। তথ্য সচিব বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্পাদিত এপিএ’র ৯৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানান । তারানা হালিম বলেন, কাজ কীভাবে করবেন বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি হচ্ছে সেই নির্দেশনা। তদারকি জোরদার হলে প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয় জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব প্রকল্পে ৮০-৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে সেগুলো যেন আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে করতে পারি, নির্বাচনের আগে সকল শক্তি নিয়োগ করে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি করা সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে-বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউট (পিআইবি), জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট, তথ্য অধিদফতর (পিআইডি), গণযোগাযোগ অধিদফতর, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড, বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর।
×